NEW :
Loading contents...

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত : 'ছন্দের জাদুকর' ও 'ছন্দোরাজ'

   (১১ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৮২-২৫শে জুন, ১৯২২)

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৮২-১৯২২) ছিলেন একজন বাঙালি কবি, শিশুসাহিত্যিক, গদ্যকার (প্রাবন্ধিক), অনুবাদক, গান রচয়িতা ও ছড়াকার। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে "ছন্দের জাদুকর" উপাধি বা অভিধায় ভূষিত করেন।

 ¤ জন্ম ও জন্মস্থান :- 

১৮৮২ খ্রিস্টাব্দের ১১ই ফেব্রুয়ারি (বাংলা: ৩০শে মাঘ, ১২৮৮ বঙ্গাব্দ) তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নিমতা গ্রামে মাতুলালয়ে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত জন্মগ্রহণ করেন।

 ¤ পৈতৃক নিবাস :- 

সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের পৈতৃক নিবাস বা পৈতৃক ভিটা ছিল পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুপী গ্রামে।

 ¤ বংশপরিচয়/পারিবারিক পরিচয় :- 

সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের পিতা রজনীনাথ দত্ত ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং মাতা মহামায়া দেবী ছিলেন গৃহবধূ।তাঁর পিতামহ অক্ষয়কুমার দত্ত ছিলেন "তত্ত্ববোধিনী" পত্রিকার সম্পাদক।

 ¤ সময়কাল :-  বাংলা সাহিত্যের তত্ত্ববোধিনী যুগ।

 ¤ পত্রিকায় আত্মপ্রকাশ ও ঘটনাবলি :- 

বালক বয়সে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত একবার পিতা রজনীনাথ দত্তের সঙ্গে ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে (১৩০৩ বঙ্গাব্দ) মধুপুর-দেওঘর বেড়াতে যান। এই সময়ে ছাপার হরফে আত্মপ্রকাশের আকাঙ্ক্ষা প্রথম দেখা যায়। মাতুল কালীচরণ মিশ্র পূর্বোদ্ধৃত প্রবন্ধে জানিয়েছেন, ---

"মধুপুর যাবার দুইদিন পূর্বে বালক ছাপাখানা হইতে নিজ নামের অক্ষর কয়টা আনিয়া বাটীতেই কালী দিয়া নিজ নাম ছাপিয়াছিল সমুদয় পুস্তকে, ছবিতে, দেওয়ালে। পরদিন সনির্বন্ধ অনুরোধে তাহার নামটা সংবাদপত্রে ছাপিয়া দিতে হইবে। যখন উত্তর পাইল যে মধুপুর হইতে একটা সংবাদ লিখিয়া পাঠালেই নাম ছাপা হইবে, তখন উল্লাসের আর সীমা রহিল না। মধুপুর হইতে দিন কয়েক পরেই বালক সত্যেন্দ্র একটি সংবাদ লিখিয়া পাঠায়। লিখন-ভঙ্গী অতি সুন্দর হইয়াছিল। সেই প্রথম রচনা প্রেরকের নাম সহ যথারীতি সাপ্তাহিক 'হিতৈষী' পত্রে প্রকাশিত হয়।"

         ★এটি কোন সাহিত্যকর্মভিত্তিক কবিতা বা ছোটগল্প নয়। এটি একটি মধুপুরের "সংবাদ"। সাপ্তাহিক "হিতৈষী" পত্রিকার আত্মপ্রকাশ --- ২৫শে বৈশাখ, ১৩০২ বঙ্গাব্দে।

           ★১৩২৫ বঙ্গাব্দে (১৯১৮ খ্রিস্টাব্দ) "ভারতী" পত্রিকার বৈশাখ সংখ্যায় ছন্দ সম্পর্কিত প্রসিদ্ধ রচনা "ছন্দ-সরস্বতী" প্রবন্ধগ্রন্থে (গদ্যগ্রন্থ) সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বলেছেন, ---

''....এই সময় লেখা আমার প্রথম কবিতা ---

'কি দিয়া পূজিব মাগো, কি আছে আমার।

জ্ঞান হীন আমি দীন সন্তান তোমার'। ---

এমনিধারা গোটা আষ্টেক দশেক লাইন।"

          ★"হিতৈষী" পত্রিকার মধুপুরের "সংবাদ" প্রকাশের আগেই সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতা রচনা শুরু হয়েছে। ''বেণু ও বীণা'' (১৫ই সেপ্টেম্বর, ১৯০৬/আশ্বিন, ১৩১৩) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত "স্বর্গদপি গরিয়সী" কবিতার রচনাকালের উল্লেখ আছে --- ''আষাঢ়, ১৩০০ সাল'' (১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দ)। যদি সত্যিই কবিতাটি এই সময়ে লেখা হয় তাহলে তখন কবির বয়স সাড়ে এগারো বছর হবে। তাই এই তথ্যটি উপরের তথ্যের সঙ্গে মিলছে না। সেজন্য এই তথ্যটি সমালোচকদের মতে গ্রহণযোগ্য নয়।

          ★সেজন্য সমালোচকেরা তথ্যের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে, ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে (১৩০৩ বঙ্গাব্দ) সাপ্তাহিক "হিতৈষী" পত্রিকার মধুপুরের "সংবাদ" প্রকাশের মধ্য দিয়ে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত পত্রিকায় আত্মপ্রকাশ করেন।

 ¤ সাহিত্য জগতে কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ :- 

শ্রীসুরেশচন্দ্র সমাজপতি কর্তৃক সম্পাদিত মাসিক "সাহিত‍্য" (বৈশাখ, ১২৯৭ বঙ্গাব্দ/১৮৯০ খ্রিস্টাব্দ) পত্রিকায় "দেখবে কী?" কবিতার মধ্য দিয়ে সত‍্যেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলা সাহিত্য জগতে কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। [এটি তাঁর একটি সাহিত্যকর্মভিত্তিক কবিতা।]

           ★সাংবাদিক সুরেশচন্দ্র সমাজপতি সম্পাদিত "সাহিত্য" পত্রিকা আত্মপ্রকাশ করে --- বৈশাখ, ১২৯৭ বঙ্গাব্দে (১৮৯০ খ্রিস্টাব্দ)।

         ★১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে (১৩০৩ বঙ্গাব্দ) মধুপুরের "সংবাদ" প্রকাশের মধ্য দিয়ে সাপ্তাহিক "হিতৈষী" (২৫শে বৈশাখ, ১৩০২ বঙ্গাব্দ) পত্রিকায় আত্মপ্রকাশের পরে তিনি এই সর্বপ্রথম মাসিক পত্রিকায় আত্মপ্রকাশ করেন।

 ¤ উপাধি (অভিধা) :- 

১) "ছন্দের জাদুকর"

★তথ্য :- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কাব্য ছন্দে বিস্মিত হয়ে তাঁকে "ছন্দের জাদুকর" উপাধি বা অভিধায় ভূষিত করেন।

২) "ছন্দের রাজা" (ছন্দোরাজ)

৩) ''ছান্দসিক কবি''

 ¤ ছদ্মনাম :- 

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত মূলত ৫টি ছদ্মনামে তাঁর কাব্যচর্চা ও অন্যান্য গ্রন্থাবলি রচনা করতেন। সেগুলি হল ---

১) "শ্রীনবকুমার কবিরত্ন"

★তথ্য :- এই ছদ্মনামে তিনি তাঁর "হসন্তিকা" (জানুয়ারি, ১৯১৭/পৌষ-পার্বণ, ১৩২৩) নামক ব্যঙ্গ কবিতা-সংকলন গ্রন্থটি রচনা করেন।

২) "অশীতিপর শর্মা"

৩) "ত্রিবিক্রম বর্মণ"

৪) "কলমগীর"

৫) "সলিলোল্লস সাঁৎরা"

 ¤ কর্মজীবন :- 

তিনি প্রথমে পিতা রজনীনাথ দত্তের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন এবং পরে ব্যবসা ছেড়ে কাব্যচর্চায় আত্মনিয়োগ করেন। সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতায় নানা ভাষার শব্দ নিপুণ ছন্দে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদকর্মও করেছেন। কবিতায় ছন্দের সমৃদ্ধতার জন্য তিনি "ছন্দের রাজা" (ছন্দোরাজ) ও "ছন্দের যাদুকর" বলে খ্যাত। তাঁকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "ছন্দের জাদুকর" উপাধি বা অভিধায় ভূষিত করেন।

 ¤ বিখ্যাত কবিদের প্রভাব :- 

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন "ভারতী" পত্রিকাগোষ্ঠীর অন্যতম বিশিষ্ট কবি। প্রথম জীবনে তিনি মাইকেল মধুসূদন দত্ত, পুষ্পপ্রিয় কবি দেবেন্দ্রনাথ সেন, অক্ষয়কুমার বড়াল প্রমুখ বিখ্যাত কবিদের দ্বারা প্রভাবিত হন।

 ¤ উল্লেখযোগ্য রচনাবলি :- 

১) "বেণু ও বীণা"-১৫ই সেপ্টেম্বর, ১৯০৬ (বাংলা: আশ্বিন, ১৩১৩) [কাব্যগ্রন্থ]

২) "তীর্থ-সলিল"-২০ই সেপ্টেম্বর, ১৯০৮ (বাংলা: আশ্বিন, ১৩১৫) [কাব্যানুবাদ গ্রন্থ]

৩) "তীর্থরেণু"-১৯শে সেপ্টেম্বর, ১৯১০ (বাংলা: ললিতা সপ্তমী, ১৩১৭) [কাব্যানুবাদ গ্রন্থ]

৪) "ফুলের ফসল"-১২ই সেপ্টেম্বর, ১৯১১ (বাংলা: ভাদ্র পূর্ণিমা, ১৩১৮) [কাব্যানুবাদ গ্রন্থ]

৫) "কুহু ও কেকা"-১০ই সেপ্টেম্বর, ১৯১২ (বাংলা: রাখীপূর্ণিমা, ১৩১৯) [কাব্যগ্রন্থ]

৬) "ছন্দ-সরস্বতী"-পত্রিকায় প্রকাশ : ১৯১৮ (বাংলা: বৈশাখ, ১৩২৫) ও গ্রন্থাকারে প্রকাশ : ১৯১৯ [গদ্যগ্রন্থ/প্রবন্ধগ্রন্থ]

 ¤ গ্রন্থপঞ্জি (গ্রন্থতালিকা) :- 

 ¤ কাব্যগ্রন্থ :- 

১) "সবিতা" (১৩ই জুন, ১৯০০)

★তথ্য :- এটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ তথা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ। ''সবিতা'' কাব্যগ্রন্থটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের পঠদ্দশায় ১৩০৫ বঙ্গাব্দে রচিত হয়েছে। সত্যেন্দ্রনাথের বন্ধু উকিল শ্রীসৌরীন্দ্রনাথ মিত্র তাঁর নিজের খরচে বা ব্যয়ে গোপনে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ''সবিতা'' কাব্যগ্রন্থটি গ্রন্থাকারে মুদ্রণ বা প্রকাশ করেন।

★প্রকাশনা সংস্থা :- "বেঙ্গল মেডিক্যাল লাইব্রেরী", ২০১, কর্ণওয়ালিস স্ট্রীট, কলকাতা।

★প্রকাশক :- শ্রীগুরুদাস চট্টোপাধ্যায়।

★সূচনা :- এই পুস্তিকার 'সূচনা'য় সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত এরূপ লিখেছেন, ---

            "....সত্য বটে, দর্শনই বিজ্ঞানের ভিত্তি, তাহা হইলেও অভিব্যক্তি হিসাবে বিজ্ঞান দর্শন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর। তাই উৎসাহ চাই -- বল চাই -- জ্ঞান ও সত্যের সমাদর চাই। তৃষ্ণার সময় কঠোর সংযম প্রকৃতিবিরুদ্ধ। তাই আমাদের দুর্দ্দশা। এখন কিসে সকল সময় শীতল সলিল সুলভ হয় -- অকালমৃত্যুর হস্ত হইতে নিষ্কৃতি লাভ হয়, তাহাই দেখিতে হইবে। পরিশ্রমে পরাঙ্মুখ হইব না -- প্রতিযোগিতায় জগতের সমকক্ষ হইব -- ইহাই একমাত্রে লক্ষ্য হওয়া চাই।...."

           ★'সবিতা' আর স্বতন্ত্রভাবে পুনর্মুদ্রিত হয় নাই; 'হোমশিখা'র অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে।

★উল্লেখযোগ্য কবিতা :- 'আরম্ভ', মেঘের কাহিনী', 'মমির হস্ত', 'কোন দেশে', ধর্মঘট', 'কুস্থানাদপি', 'দেবতার স্বপ্ন', 'নাভাজির স্বপ্ন' ইত্যাদি। এই কবিতাগুলি পরবর্তীকালে তাঁর মরণোত্তর "সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের শ্রেষ্ঠ কবিতা" (সেপ্টেম্বর, ২০০১/আশ্বিন, ১৪০৮) নামক কাব্য-সংকলন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

★মূল্য :- দুই (২) আনা।

২) "সন্ধিক্ষণ" (১৮ই সেপ্টেম্বর, ১৯০৫)

★ভূমিকা :- "স্বদেশী আন্দোলনের যুগে স্বদেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত হইয়া 'সন্ধিক্ষণ' লিখিত। 'সন্ধিক্ষণ' আর স্বতন্ত্রভাবে পুনর্মুদ্রিত হয় নাই; সত্যেন্দ্রনাথের মৃত্যুর প্রায় তিন মাস পরে প্রকাশিত 'বেণু ও বীণা'র ২য় সংস্করণে (১৫ই সেপ্টেম্বর, ১৯২২) সন্নিবিষ্ট হইয়াছে।"

৩) "বেণু ও বীণা" (১৫ই সেপ্টেম্বর, ১৯০৬/আশ্বিন, ১৩১৩)

★ভূমিকা :- "বেণু ও বীণা'র অধিকাংশ কবিতা এই প্রথম প্রকাশিত হইল। এই কবিতাগুলি ১৩০০ সাল হইতে ১৩১৩ সালের মধ্যে রচিত।"

★পরিমার্জিত দ্বিতীয় সংস্করণ :- এই কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণ ১৫ই সেপ্টেম্বর, ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।

৪) "হোমশিখা" (১২ই অক্টোবর, ১৯০৭/আশ্বিন, ১৩১৪)

★তথ্য :- সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের "হোমশিখা'' কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা (সবিতা)-সহ  ভিন্ন সমস্ত কবিতাই এই প্রথম প্রকাশিত হল। এই কবিতাগুলি ১৩০৫ থেকে ১৩১৩ বঙ্গাব্দের মধ্যে রচিত হয়েছে।

★কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা :- 'সবিতা'।

★উল্লেখযোগ্য কবিতা :- 'সবিতা', 'সামা-সাম' ইত্যাদি। এর মধ্যে "সাম-মামা" কবিতাটি পরবর্তীকালে তাঁর মরণোত্তর "সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের শ্রেষ্ঠ কবিতা" (সেপ্টেম্বর, ২০০১/আশ্বিন, ১৪০৮) নামক কাব্য-সংকলন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

৫) "কুহু ও কেকা" (১০ই সেপ্টেম্বর, ১৯১২/রাখীপূর্ণিমা, ১৩১৯)

★ভূমিকা :- "এই গ্রন্থের অল্প কয়েকটি কবিতা 'ভারতী', 'প্রবাসী', 'সাহিত্য', 'বঙ্গদর্শন' এবং আরও দুই একখানি কাগজে ইতিপূর্ব্বে প্রকাশিত হইয়াছে। বেশীর ভাগ নূতন।"

★উল্লেখযোগ্য কবিতা :- 'চার্বাক ও মঞ্জুভাষা', 'লব্ধ-দুর্লভ', 'পাল্কির গান', 'গ্রীষ্ম-চিত্র', 'গ্রীষ্মের সুর', 'রিক্তা', 'যক্ষের নিবেদন', 'ভাদ্রশী', 'ওগো', ফুল-সাঞি', 'জবা', 'সৎকারান্তে', 'ছিন্ন-মুকুল', 'দার্জিলিঙের চিঠি', 'পদ্মার প্রতি', শূদ্র" --- শূদ্র মহান্ গুরু গরীয়ান্, 'মেথর', 'দুর্ভিক্ষে', 'সংশয়', 'ফুল-শির্ণি', 'গান', 'আমি', 'নষ্টোদ্ধার', 'সুদূরের যাত্রী' ইত্যাদি। এই কবিতাগুলি পরবর্তীকালে তাঁর মরণোত্তর "সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের শ্রেষ্ঠ কবিতা" (সেপ্টেম্বর, ২০০১/আশ্বিন, ১৪০৮) নামক কাব্য-সংকলন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

৬) "তুলির লিখন" (২২শে আগস্ট, ১৯১৪/শ্রাবণ, ১৩২১)

★ভূমিকা :- "এই কবিতাগুলি ১৩১৬ সালের বর্ষাকালে রচিত। সম্প্রতি একটু আধটু পরিবর্ত্তন করিয়াছি। এগুলি একাত্মিকা পদ বা একোক্তি-গাথা।"

★উল্লেখযোগ্য কবিতা :- 'বাজশ্রবা', 'শবাসীন' ইত্যাদি। এই কবিতাগুলি পরবর্তীকালে তাঁর মরণোত্তর "সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের শ্রেষ্ঠ কবিতা" (সেপ্টেম্বর, ২০০১/আশ্বিন, ১৪০৮) নামক কাব্য-সংকলন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

৭) "মণি-মঞ্জুষা" (২৮শে সেপ্টেম্বর, ১৯১৫/মধ্য-শরৎ, ১৩২২)

★ভূমিকা :- "মণি-মঞ্জুষা'র অনেকগুলি কবিতা সাময়িক পত্রে প্রকাশিত হইয়াছিল, অনেকগুলি নূতন।"

★উল্লেখযোগ্য কবিতা :- 'খুকির বালিশ', 'ছেলেমানুষ', 'চায়ের পেয়ালা', 'সোমপায়ীর গান', 'দেড়ে টিকটিকি', 'বাঘের স্বপন', 'গরু ও জরু', 'যৌবন-সীমান্তে' ইত্যাদি। এই কবিতাগুলি পরবর্তীকালে তাঁর মরণোত্তর "সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের শ্রেষ্ঠ কবিতা" (সেপ্টেম্বর, ২০০১/আশ্বিন, ১৪০৮) নামক কাব্য-সংকলন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

৮) "অভ্র-আবীর" (১৬ই মার্চ, ১৯১৬/বাসন্তী পূর্ণিমা, ১৩২২)

★তথ্য :- এটি তাঁর জীবিতকালে (জীবদ্দশায়) প্রকাশিত শেষ কাব্যগ্রন্থ।

★উল্লেখযোগ্য কবিতা :- 'সবুজপরী', 'জাতির পাঁতি', 'নির্জলা একাদশী', 'গঙ্গাহৃদি-বঙ্গভূমি', 'মৃত্যু-স্বয়ম্বর', 'মৌলিক গালি', 'চিত্রশরৎ', 'পূর্ণিমা রাত্রে সমুদ্রের পতি', 'তানকা সপ্তক', 'তাতারসির গান', 'বৈকালি', 'আবির্ভাব' ইত্যাদি। এই কবিতাগুলি পরবর্তীকালে তাঁর মরণোত্তর "সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের শ্রেষ্ঠ কবিতা" (সেপ্টেম্বর, ২০০১/আশ্বিন, ১৪০৮) নামক কাব্য-সংকলন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

৯) "বেলা শেষের গান" (১৯শে অক্টোবর, ১৯২৩)

★তথ্য :- এটি তাঁর মৃত্যুর পরে (মরণোত্তর) প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।

★উল্লেখযোগ্য কবিতা :- বুদ্ধ পূর্ণিমা', 'সাল্-তামামি' ইত্যাদি। এই কবিতাগুলি পরবর্তীকালে তাঁর মরণোত্তর "সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের শ্রেষ্ঠ কবিতা" (সেপ্টেম্বর, ২০০১/আশ্বিন, ১৪০৮) নামক কাব্য-সংকলন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

১০) "বিদায় আরতি" (২রা মার্চ, ১৯২৪)

★তথ্য :- এটি তাঁর মৃত্যুর পরে (মরণোত্তর) প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।

★উল্লেখযোগ্য কবিতা :- মিঞ্চলে সূর্যোদয়', 'দোরোখী একাদশী', 'সেবা-সাম', 'দূরের পাল্লা', 'জ্যেষ্ঠ-মধু' ইত্যাদি। এই কবিতাগুলি পরবর্তীকালে তাঁর মরণোত্তর "সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের শ্রেষ্ঠ কবিতা" (সেপ্টেম্বর, ২০০১/আশ্বিন, ১৪০৮) নামক কাব্য-সংকলন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।


This is a premium content, you can continue reading this content in our Android App. Click the button below to continue. alert-info

1 Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post