লীলা মজুমদার থেকে গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১) কত খ্রিস্টাব্দে 'সন্দেশ' পত্রিকায় 'লক্ষ্মীছাড়া' (পরবর্তী নাম : 'লক্ষ্মীছেলে') গল্পের মধ্য দিয়ে লীলা মজুমদার সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশ করেন?
(ক) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে √
(গ) ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে
২) লীলার জীবনীকার তাঁর ভাইপো প্রসাদরঞ্জন রায়ের হিসেব মতো লীলা মজুমদারের মোট ক'টি বইয়ের উল্লেখ সম্ভবপর হয়েছে?
(ক) ২৮২টি
(খ) ২৮৪টি
(গ) ২৮৬টি
(ঘ) ২৮৯টি √
৩) লীলা মজুমদারের প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ কোনটি?
(ক) বদ্যিনাথের বড়ি (১৯৪০) √
(খ) দিন দুপুরে (১৯৪৮)
(গ) পদিপিসির বর্মীবাক্স (১৯৫৩)
(ঘ) মণিমালা (১৯৫৬/ভাদ্র ১৩৬৩)
৪) নিম্নলিখিত কোন গ্রন্থটি লীলা মজুমদারের জীবনীমূলক গ্রন্থ নয়?
(ক) উপেন্দ্রকিশোর (১৯৬৩)
(খ) অবনীন্দ্রনাথ (১৯৬৬/বৈশাখ ১৩৭৩)
(গ) রবীন্দ্রনাথ √
(ঘ) সুকুমার (১৯৮৯)
৫) কোন বাংলা অনুবাদ গ্রন্থটি লীলা মজুমদার মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গে যুগ্মভাবে রচনা করেন?
(ক) চার বিচারকের দরবার (১৯৬০)
(খ) নদী কথা (১৯৭০, মতান্তরে ১৯৬৮) √
(গ) ভারতে বিদেশী যাত্রা (১৯৭১)
(ঘ) বাঘদাঁত (১৯৭৫)
৬) লীলা মজুমদারের 'গুপীর গুপ্তখাতা' (১৯৫৯) উপন্যাসটি 'ভয় যাদের পিছু নিয়েছে' নামে ১৩৫৩ বঙ্গাব্দের বৈশাখ-চৈত্র সংখ্যায় কোন পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়?
(ক) সন্দেশ
(খ) শিশু সাথী
(গ) খোকাখুকু
(ঘ) রংমশাল √
৭) লীলা মজুমদারের 'টং লিং' (১৯৬৩) উপন্যাসটি ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে কোন পত্রিকার বৈশাখ সংখ্যাতে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়?
(ক) সন্দেশ √
(খ) মৌচাক
(গ) শিশু সাথী
(ঘ) খোকাখুকু
৮) লীলা মজুমদার 'হট্টমেলার দেশে' (১৯৭৭) গল্পগ্রন্থটি কার বা কাদের সঙ্গে যুগ্মভাবে বা একত্রে রচনা করেন?
(ক) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও প্রেমেন্দ্র মিত্র
(গ) প্রেমেন্দ্র মিত্র √
(ঘ) জয়ন্ত চৌধুরী
৯) লীলা মজুমদার কোন গ্রন্থের জন্য ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার 'রবীন্দ্র পুরস্কার' লাভ করেন?
(ক) 'হলদে পাখির পালক' (১৯৫৭) নামক ছোটোদের উপন্যাসের জন্য।
(খ) 'বক-বধ পালা' (১৯৫৯) নাটকের জন্য।
(গ) 'আর কোনোখানে' (১৯৬৭) নামক স্মৃতিচারণামূলক গ্রন্থের জন্য। √
(ঘ) শিশুসাহিত্যে সারাজীবন অবদানের জন্য।
১০) শুদ্ধ ও অশুদ্ধ নির্ণয় করুন।
I. লীলা মজুমদারের শৈশব অতিবাহিত হয়েছিল মেঘালয়ের শিলঙ (শিলং)-এ। তাঁর 'হলদে পাখির পালক' (১৯৫৭) গ্রন্থটি হলো ছোটোদের জন্য রচিত প্রথম উপন্যাস। তাঁর 'নাকু-গামা' (১৯৭৩) উপন্যাসের নায়ক চরিত্র হলো 'নাকু'। তাঁর 'শেলটার' গল্পে পাহাড়ের মাথায় সাহেবদের শেলটারের রোমহর্ষক বর্ণনা আমাদের মুগ্ধ করে।
II. লীলা মজুমদার 'সন্দেশ' (১৯৬৩-১৯৯৪) পত্রিকার সহ-সম্পাদক ছিলেন। তাঁর 'কুকড়ো' গল্প আমাদের মনুষ্যেতর জীবের প্রতি ভালোবাসা সঞ্চার করে। তাঁর 'পদিপিসির বর্মীবাক্স' (১৯৫৩) গল্পগ্রন্থটিকে চলচ্চিত্রে রূপ দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন সত্যজিৎ রায়। এই গল্পগ্রন্থের একটি বিখ্যাত সংলাপ - "চুপ! চোখ ইজ জ্বল জ্বলিং"।
III. লীলা মজুমদার 'টাকা গাছ' (১৯৬১) গল্পগ্রন্থটি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও প্রেমেন্দ্র মিত্রের সঙ্গে একত্রে রচনা করেন। ৬০-এর দশকের শেষ দিকে তিনি কলকাতার 'অল ইন্ডিয়া রেডিও'তে 'গল্পো দাদুর আসর' এবং 'ঠাকুমার চিঠি'র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর 'লাল নীল দেশলাই' (১৯৫৯) গ্রন্থটি হলো ছোটোদের জন্য রচিত একটি উপন্যাস।
IV. লীলা মজুমদারের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থটি (প্রবন্ধ-নিবন্ধ) হলো 'পাকদণ্ডী' (১৯৮৬)। তিনি নানান বেড়ালদের কাহিনি নিয়ে লিখেছেন 'বেড়ালের বই' (১৯৯২) গল্পগ্রন্থটি। তিনি 'হলদে পাখির পালক' (১৯৫৭) নামক ছোটোদের জন্য রচিত উপন্যাসের জন্য ভারত সরকার প্রদত্ত 'স্টেট পুরস্কার' ও 'শিশু সাহিত্য পুরস্কার' লাভ করেন।
(ক) শুদ্ধ, অশুদ্ধ, অশুদ্ধ, শুদ্ধ
(খ) অশুদ্ধ, শুদ্ধ, অশুদ্ধ, শুদ্ধ
(গ) শুদ্ধ, শুদ্ধ, অশুদ্ধ, অশুদ্ধ
(ঘ) শুদ্ধ, শুদ্ধ, অশুদ্ধ, শুদ্ধ √
- আলোচক : সৌম্যদীপ মাইতি
- যোগাযোগ : ৬২৯০৩৭৭১৩৪
- S.L.S.T বাংলা অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে চাইলে ফোন করে যোগাযোগ করুন আমার ৬২৯০৩৭৭১৩৪ নম্বরে, অথবা আমার WhatssApp-তে ম্যাসেজ করুন ৮৭৬৮৮৩০২৩০ নম্বরে। ধন্যবাদ।
Post a Comment