নিধুবাবু বা রামনিধি গুপ্ত : টপ্পা সংগীতের প্রচলক
(১৭৪১ খ্রিস্টাব্দ --- ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দ )
অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি সংগীতস্রষ্টা। বাংলা ভাষায় টপ্পা সংগীতের প্রচলনকারী বা প্রচলক। বাংলা সাহিত্যে তিনি সাধারণত নিধুবাবু (১৭৪১-১৮৩৮) নামেই পরিচিত, বাংলা টপ্পা সংগীতের একজন মহান সংস্কারক তিনি। তাঁর পূর্ব পর্যন্ত টপ্পা এক ধরনের অরুচিকর গান হিসেবে বিবেচিত হত। তাঁর গানের ভক্তরা অধিকাংশই সেকালের ধনাঢ্য সম্ভ্রান্ত ছিলেন।
¤ জন্ম ও জন্মস্থান :-
১৭৪১ খ্রিস্টাব্দে অধুনা হুগলি জেলার ত্রিবেণীর নিকটবর্তী চাঁপতা (চাপতা) গ্রামে তাঁর মাতুলালয়ে বা মামাবাড়িতে নিধুবাবু জন্মগ্রহণ করেন।
¤ নিধুবাবুর জন্ম নাম এবং সম্পূর্ণ নাম :-
নিধুবাবুর জন্ম নাম এবং সম্পূর্ণ নাম রামনিধি গুপ্ত।
¤ পারিবারিক পরিচয় :-
নিধুবাবুর পিতা হরিনারায়ণ গুপ্ত কবিরাজী চিকিৎসক ছিলেন। তিনি উত্তর কলকাতার কুমারটুলিতে সপরিবারে বাস করতেন।
¤ উদ্ভব :-
নিধুবাবু বা রামনিধি গুপ্তের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর কলকাতার কুমারটুলিতে উদ্ভব হয়।
¤ ধরন :- টপ্পা সংগীত।
¤ পেশা :- সংগীতজ্ঞ ও সুরকার।
¤ শিক্ষাজীবন :-
১৭৪৭ খ্রিস্টাব্দে নিধুবাবু পিতার সঙ্গে কলকাতায় এসে এক পাদরির কাছে সংস্কৃত, ইংরেজি, পারসিক শিক্ষা লাভ করেন। বিহারের ছাপরায় মুসলমান ওস্তাদের নিকট খেয়াল ও টপ্পা শিক্ষা লাভ করেন।
¤ কর্মজীবন :-
১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে নিধুবাবু কলকাতা থেকে বিহারের ছাপরা জেলায় জনৈক পাদরির নিকট কিছু ইংরেজি শিক্ষার সুবাদে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিসে ৩৫ বছর বয়সে রাজস্য বিভাগের 'দ্বিতীয় কেরানি' (কালেক্টরেটে)-র চাকরি নিয়ে চলে যান। তখন ছাপরার কালেক্টার ছিলেন মন্টগোমারি সাহেব। সেখানে একজন মুসলমান ওস্তাদের নিকট তিনি হিন্দুস্থানী টপ্পা সংগীতে তালিম নেন। কোম্পানির অফিসে চাকরি করে তিনি প্রচুর অর্থের মালিক হন। প্রায় ১৮ বছর চাকরি ১৭৯৫ খ্রিস্টাব্দে চাকরি ছেড়ে বা কাজে ইস্তফা দিয়ে তিনি কলকাতায় এসে বসবাস শুরু করেন। কলকাতায় ফিরে তিনি শোভাবাজারে একটি আটচালা ঘরে সংগীতের আসর শুরু করেন। এই ঘরে প্রতিরাত্রে নিধুবাবুর গানের আসর বসতো। এই আসরেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে টপ্পা সংগীতের সূচনা করেন। পরে এই আসরের আয়োজন হতো কলকাতার বাগবাজারের রসিকচাঁদ গোস্বামীর বাড়িতে। এই সকল আসরের ভিতর দিয়ে 'রামনিধি গুপ্তের গান' হয়ে যায় 'নিধুবাবুর গান' বা 'নিধুবাবু'র টপ্পা'। অর্থাৎ কলকাতায় এসে তিনি এই শ্রেণির গান বাংলায় রচনা করে তাতে সুর প্রদান করে গাইতে শুরু করেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্বন্ধে অনেক তথ্যই আমাদের সঠিক জানা নেই, তাই নানা কিংবদন্তির সূত্রপাত।
¤ তাঁর টপ্পা গানগুলির বাংলা সাহিত্যে পরিচয় :-
রামনিধি গুপ্তের টপ্পা গানগুলি বাংলা সাহিত্যে 'নিধুবাবুর টপ্পা' বা 'নিধুবাবুর গান' নামে অধিক বা বহুল প্রচলিত। যা আজও বাংলা সাহিত্যে অতি জনপ্রিয় হয়ে আছে।
¤ প্রেমমূলক টপ্পা সংগীতের প্রেরণা :-
আখড়াই গান আদিরসাত্মক। মুর্শিদাবাদের নিজামাতের দেওয়ান রাজা মহানন্দ রায় কলতকাতায় এলে কবির সাথে আমোদ প্রমোদ করতেন। রাজার রক্ষিতা শ্রীমতীর সাথে নিধুবাবুর মধুর সম্পর্ক ছিল। রামনিধি গুপ্তের ভালোবাসার পাত্রী ছিল শ্রীমতী নামে ওই রূপবতী ও সংগীতনিপুণা বীরাঙ্গনা। তিনি শ্রীমতীর গৃহে উপস্থিত হয়ে তাঁকে গান শোনাতেন এবং তাঁর সান্নিধ্য উপভোগ করতেন। কবি শ্রীমতীর কাছে ওই যাতায়াতের সময়ে নানা প্রেমগীত রচনা করেছিলেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন অতি ভদ্র, মার্জিত ও রুচিশীল ছিল। নিধুবাবুর প্রেমমূলক অনেক টপ্পা সংগীতের প্রেরণার মূলে ছিল এই প্রণয়পাত্রী।
¤ তাঁর আদর্শ এবং জনপ্রিয় হয়ে ওঠার কারণ :-
বাংলা টপ্পার আদি পুরুষ ছিলেন কালী মীর্জা (১৭৫০-১৮২০)। ১৭৮০-৮১ খ্রিস্টাব্দের দিকে তিনি সংগীত শিক্ষা শেষ করে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি হুগলিতে এসে বসবাস শুরু করেন। এখানেই তিনি বাংলা টপ্পা গানের চর্চা শুরু করেন। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক ছিলেন। তিনি নিধুবাবুর অনেক আগে থেকে বাংলা টপ্পার প্রচলন করেন। এছাড়া হিন্দুস্থানী টপ্পার উদ্ভাবক ছিলেন শোরীমিঞা এবং প্রথম ধ্রুপদ রচয়িতা হলেন রামশংকর ভট্টাচার্য। শোরীমিঞাকে আদর্শ করেই নিধুবাবু বাংলা টপ্পা গান রচনা করে তাতে সুর প্রদান করে গাইতে থাকেন এবং খুব শীঘ্রই তিনি কলকাতায় যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
¤ নিধুবাবুর টপ্পা সংগীত সম্পর্কে মন্তব্য :-
প্রথমে নিধুবাবু বিহারের ছাপরা জেলার এক মুসলমান ওস্তাদের কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীত শিখেছিলেন। পরে ছাপরা জেলার রতনপুরা গ্রামের ভিখন রামস্বামীর মন্ত্র শিষ্য হন। তিনি নানারকমের গান লিখে ছিলেন কিন্তু তাঁর টপ্পা গানের জন্যই মূলত তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। উনিশ শতকের শেষ অবধি তাঁর টপ্পা সংগীতগুলি খুবই জনপ্রিয় ছিল। তাঁর গান বাইজিদের মজলিশ বা ওই জাতীয় অনুষ্ঠানে বেশি গাওয়া হত বলে পরে অনেকে তা 'সাহিত্যরসহীন' আখ্যা দিলেও এ কথা অস্বীকার করা যায় না যে তাঁর কবিতা আধুনিক এবং অতি উচ্চমানের। নিধুবাবুর টপ্পা সংগীতকে অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত করা অন্যায়।
¤ নিধুবাবু রচিত টপ্পা গানগুলির সংযোজন :-
নিধুবাবু বা রামনিধি গুপ্ত রচিত টপ্পা গানগুলি তাঁর 'গীতরত্ন গ্রন্থঃ' (১৮৩৭) সংকলনে সংযোজিত হয়েছে। অর্থাৎ তাঁর একটি গীতিকা সংকলনের নাম হল 'গীতরত্ন গ্রন্থঃ' (১৮৩৭)। তাঁর সমসাময়িক জেমস লংয়ের বর্ণনানুসারে তিনি তাঁর শ্রেষ্ঠ গানগুলি মদ্যপ অবস্থায় রচনা করেছিলেন।
¤ 'গীতরত্ন' সংকলনের গান সম্পর্কিত তথ্যাদি :-
স্বভাবকবির প্রতিভাগুণে রামনিধি গুপ্তের অনেক গান আধুনিক বাংলা লিরিকের বৈশিষ্ট্যমন্ডিত হয়েছে। ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে 'গীতরত্ন গ্রন্থঃ' নামে তাঁর গানের একটি সংকলন প্রকাশিত হয়। তাতে ৯৬টি গান স্থান পায়। তাঁর পুত্র জয়গোপাল গুপ্ত ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে এই গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেন। তাতে আরও ৭টি গান সংযুক্ত হয়ে মোট ১০৩টি গান স্থান পায়। 'গীতরত্ন গ্রন্থঃ' (১৮৩৭) সংকলনের এই ১০৩টি গানগুলির মধ্যে ৪টি ভক্তিভাব ও ১টি স্বদেশচেতনার গান ছাড়া বাকি ৯৮টি প্রেমবিষয়ক গান। দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত 'বাঙ্গালীর গান' (১৯০৫) গ্রন্থে নিধুবাবুর ৪৫০টি এবং 'সঙ্গীতরাগকল্পদ্রুম' নামক সংকলনে ১৫০টি গান মুদ্রিত হয়েছে।
¤ স্বদেশপ্রেম ও ভাষাপ্রীতির স্বাক্ষর স্থাপন :-
রামনিধু গুপ্ত বাংলা ভাষাবিষয়ক একটি গান রচনা করে স্বদেশপ্রেম ও ভাষাপ্রীতির স্বাক্ষর স্থাপন করেছেন। গানটি হল :
"নানান দেশের নানান ভাষা / বিনে স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা"।
সেকালের প্রেক্ষাপটে এরূপ উক্তি দুর্লভ বলেই বিবেচিত হয়।
¤ টপ্পাগানের বিষয় :-
নিধুবাবুর টপ্পা গানের বিষয় হল প্রেম। নিধুবাবু রচিত মানবীয় প্রেমের গানগুলি বিয়োগান্ত করুণা ও স্বতঃসিদ্ধ কবিতায় সার্থকতা লাভ করেছে। যেমন ---
১। "ভালবাসবে বলি ভালবাসিনে,
আমার স্বভাব এই,
তোমা বই আর জানিনে।
বিধুমুখে মধুর হাসি,
আমি বড় ভালবাসি,
তাই দেখে যেতে আসি --
দেখা দিতে আসিনে।।"
২। "যার মন তারই কাছে,
লোকে বলে নিলে নিলে,
দেখা হলে জিজ্ঞাসিব,
সে নিলে কি আমায় দিলে।
দৈবযোগে একদিন,
হয়েছিল দরশন।
না হতে প্রেম-মিলন,
লোকে কলঙ্ক রটালে।"
৩। "প্রেমে কি সুখ হ'ত।
আমি যারে ভালবাসি,
সে যদি ভালবাসিত।
কিংশুক শোভিত ঘ্রাণে,
কেতকী কণ্টক বিনে,
ফুল হ'ত চন্দনে
ইক্ষুতে ফল ফলিত।"
৪। "তবু কেন যে ভালবাসি,
তাহা নিজেই জানি নে।
আমার স্বভাব এই,
তোমা বই আর জানিনে।"
৫। "নয়নের দোষ কেন।
মনেরে বুঝায়ে বল নয়নেরে দোষ কেন।
আঁখি কি মজাতে পারে না হলে মনমিলন।
আঁখিতে যে যত হেরে সকলি কি মনে ধরে,
যেই যাকে মনে করে সেই তার মনোরঞ্জন।"
৬। "না হতে পতন তরু দহন হইল আগে
আমার এ অনুতাপ তারে যেন নাহি লাগে।।
চিতে চিতা সাজাইয়া তাহা দুখ তৃণ দিয়ে
আপনি হইবে দগ্ধ আপনারি অনুরাগে।।"
¤ নিধুবাবু রচিত কয়েকটি জনপ্রিয় টপ্পা গান :-
১) 'নানান দেশে নানান ভাসা'।
২) 'ভালবাসবে বলি ভালবাসিনে'।
৩) 'যার মন তারই কাছে'।
৪) 'প্রেমে কি সুখ হ'ত'।
৫) 'তবু কেন যে ভালবাসি'।
৬) 'নয়নের দোষ কেন'।
৭) 'না হতে পতন তরু দহন হইল আগে'।
৮) 'পিরীতি না জানে সখী'।
৯) 'আসিবে হে প্রাণ কেমনে এখানে'।
১০) 'সখি! কোথায় পাব তারে, যারে প্রাণ সঁপিলেম'।
১১) 'যাও! তারে কহিও, সখি, আমারে কি ভুলিলে'।
১২) 'আমি আর পারি না সাধিতে এমন করিয়ে'।
১৩) 'ভ্রমরারে! কি মনে করি আইলে প্রাণ নলিনী ভবনে"।
১৪) 'শুন, শুন, শুনলো প্রাণ ! কেন তুমি হও কাতর'।
১৫) 'ঋতুরাজ ! নাহি লাজ, একি রাজনীত'।
১৬) 'কি চিত্র বিচিত্র কুসুম ঋতুর চরিত্র গুণ'।
১৭) 'মধুর বসন্ত ঋতু! হে কান্ত! যাবে কেমনে'।
১৮) 'এ কি তোমার মানের সময়? সমুখে বসন্ত'।
১৯) 'শৈলেন্দ্রতনয়া শিবে, সদাশিবে প্রদাভবে'।
২০) 'অপার মহিমা তব, উপমা কেমনে দিব'।
২১) 'শঙ্করি শৈলেন্দ্র সুতে, শশাঙ্ক শিখরাশ্চিতে'।
২২) 'মনোপুর হোতে আমার হারায়েছে মন'।
২৩) 'কত ভালবাসি তারে সই, কেমনে বুঝাব'।
২৪) 'কেমনে রহিব ঘরে মন মানে না'।
২৫) 'এমন সুখের নিশি কেন পোহাইল'।
¤ তাঁর টপ্পা সংগীতে সংস্কৃত কাব্যগ্রন্থের প্রভাব :-
নিধুবাবুর কোনো কোনো টপ্পা সংগীতে প্রাচীন ভারতীয় কবি অমরু রচিত সংস্কৃত ভাষার একটি খণ্ডকাব্য'অমরুশতক'-এর ছায়া পরিলক্ষিত হয়।
¤ নিধুবাবুর লেখা গানের প্রশংসা :-
পরবর্তীকালে নিধুবাবুর লেখা গান দেখে ভগিনী নিবেদিতা তাঁর লেখা গানের প্রভূত প্রশংসা করেছিলেন।
¤ এলিস সাহেবের বিরুদ্ধে অসুবিধার সৃষ্টি :-
অষ্টাদশ শতকের ষাটের দশক ছিল বাংলা তথা ভারতের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়। একবার নবাব মিরকাশিম ও পাটনার জনৈক কুঠিয়াল ইংরেজ এলিস সাহেবের দ্বন্দ্ব হয়। গোলাম হোসেন রচিত 'সেইর-উল-মুতাকখরিণ' গ্রন্থে লেখা আছে যে, ---
"ঐ দ্বন্দ্বের সময় সারণের ফৌজদার এক বাঙালী রামনিধি, এলিস সাহেব-এর অসুবিধার সৃষ্টি করে।"
¤ হুগলি জেলার টপ্পা সংগীতে তাঁর প্রভাব :-
কালী মীর্জা এবং নিধুবাবুর পরে বাংলা টপ্পাকে সচল রাখেন শ্রীধর কথক। শ্রীধর কথক সযত্নে কালী মীর্জা এবং নিধুবাবুর টপ্পাকে ধারণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে তাঁর গানে নিধুবাবুর প্রভাবই বেশি। এরপর পশ্চিমা টপ্পা শিখে বাংলা টপ্পা সংগীতের জগতে আসেন মহেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। সংগীতে তাঁর অসাধারণ দখলের কারণে তিনি মহেশ ওস্তাদ নামে খ্যাত হয়েছিলেন। মহেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ১৮৫০-১৯০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ৫০ বছর তাঁর বাংলা টপ্পা সংগীতকে সজীব করে রেখেছিলেন। এরপরে শ্রীরামকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৯২১-২০০৯) ছিলেন টপ্পা সংগীতের শেষ জনপ্রিয় গায়ক।
¤ মৃত্যু ও মৃত্যুস্থান :-
এই অপেশাদারী মহান শিল্পী নিধুবাবু বা রামনিধি গুপ্ত এক শতাব্দী পূর্ণ হওয়ার আগে ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে অধুনা পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা জেলায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।
¤ নিধুবাবুকে স্মরণ :-
১) সাহিত্যিক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর "জোড়াসাঁকোর ধারে" (১৯৪৪) প্রবন্ধগ্রন্থটিতে নিধুবাবুর নাম তাঁর রচনায় উল্লেখ করে নিধুবাবুকে স্মরণ করেছেন।
¤ তথ্যসূত্র :-
১) 'আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস' (দ্বিতীয় খণ্ড) [এপ্রিল ২০০৪] --- অধ্যাপক শ্রীতপন কুমার চট্টোপাধ্যায়।
২) 'নিধুবাবু ও তাঁর টপ্পা' --- শ্রীরমাকান্ত চক্রবর্তী।
- আলোচক : সৌম্য মাইতি
- যোগাযোগ : ৬২৯০৩৭৭১৩৪
- S.L.S.T বাংলা অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে চাইলে ফোন করে যোগাযোগ করুন আমার ৬২৯০৩৭৭১৩৪ নম্বরে, অথবা আমার WhatssApp-তে ম্যাসেজ করুন ৮৭৬৮৮৩০২৩০ নম্বরে। ধন্যবাদ।
Post a Comment