বাংলা গদ্যসাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১) ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রধান বাংলা গদ্যরীতির ধারা --- সাধু গদ্যরীতির ধারা।
২) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের হাতে বাংলা গদ্য --- শিল্পপ্রাণ হয়ে ওঠে।
৩) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তিনটি ছদ্মনামে --- পাঁচখানি হাস্যরসাত্মক বেনামী বই লেখেন।
৪) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের তিনটি ছদ্মনাম হল --- "কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য", "কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোসহচরস্য" এবং "কস্যচিৎ তত্ত্বান্বেষিণঃ"।
৫) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের "কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য" ছদ্মনামে রচিত তিনটি প্রবন্ধগ্রন্থ হল --- "অতি অল্প হইল" (১৮৭৩), "আবার অতি অল্প হইল" (১৮৭৩) এবং "ব্রজবিলাস" (১৮৮৪)।
৬) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের "কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোসহচরস্য" ছদ্মনামে বিধবাবিবাহ বিরোধীদের উদ্দেশ্যে রচিত প্রবন্ধগ্রন্থটি হল --- "রত্নপরীক্ষা" (আগস্ট ১৮৮৬)।
৭) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের "কস্যচিৎ তত্ত্বান্বেষিণঃ" ছদ্মনামে লেখা প্রবন্ধগ্রন্থটি হল --- "বিধবা বিবাহ ও যশোহর হিন্দু ধর্মরক্ষিণী সভা বা বিনয় পত্রিকা" (১৮৮৪)।
৮) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের "বিধবা বিবাহ ও যশোহর হিন্দু ধর্মরক্ষিণী সভা বা বিনয় পত্রিকা" (১৮৮৪) প্রবন্ধগ্রন্থটি রচিত হয়েছে --- বিধবাবিবাহ বিরোধীদের উদ্দেশ্যে।
৯) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের "বিধবা বিবাহ ও যশোহর হিন্দু ধর্মরক্ষিণী সভা বা বিনয় পত্রিকা" (১৮৮৪) প্রবন্ধগ্রন্থটি পরবর্তীতে প্রকাশিত হয় --- "বিনয় পত্রিকা" নামে।
১০) বাংলা গদ্যে লেখা প্রথম শোককাব্য হল --- "প্রভাবতী সম্ভাষণ" (রচনাকাল : ১৮৬৩; মরণোত্তর প্রকাশিত)।
১১) "প্রভাবতী সম্ভাষণ" (রচনাকাল : ১৮৬৩) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের --- মৌলিক রচনা বা মৌলিক প্রবন্ধগ্রন্থ।
১২) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের "প্রভাবতী সম্ভাষণ" (রচনাকাল : ১৮৬৩) নামের শোককাব্যটি --- বন্ধু রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যার মৃত্যুতে রচিত।
১৩) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের "প্রভাবতী সম্ভাষণ" (রচনাকাল : ১৮৬৩) নামের শোককাব্যটি তাঁর মৃত্যুর পর আবিষ্কার করেন --- বিদ্যাসাগরের দৌহিত্র সুরেশচন্দ্র সমাজপতি মাতামতের কাগজপত্র অনুসন্ধান করতে গিয়ে।
১৪) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধগ্রন্থ হল --- "কমলাকান্তের দপ্তর" (১৮৭৫)।
১৫) "কমলাকান্তের দপ্তর" (১৮৭৫) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের --- কৌতুক রসাত্মক রচনা এবং ব্যক্তিগত প্রবন্ধগ্রন্থ।
১৬) "রাজকাহিনী" (১৯০৬) প্রবন্ধগ্রন্থটির রচয়িতা --- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৭) "রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ" (১৯০৯) প্রবন্ধগ্রন্থটির লেখক --- শিবনাথ শাস্ত্রী।
১৮) বাংলা সাহিত্যে 'হুতোমি ভাষা'র স্রষ্টা হলেন --- কালীপ্রসন্ন সিংহ।
১৯) বাংলা সাহিত্যে সাহিত্য সমালোচনার প্রথম পথপদর্শক --- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
২০) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যের --- শ্রেষ্ঠ প্রাবন্ধিক।
২১) প্রমথ চৌধুরী ছিলেন --- রবীন্দ্রোত্তর যুগের প্রাবন্ধিক।
২২) "পথে-প্রবাসে" (১৯৯৯) প্রবন্ধগ্রন্থের রচয়িতা --- অন্নদাশঙ্কর রায়।
২৩) জগদীশচন্দ্র বসু কলকাতায় একেবারে নিজের প্রচেষ্টায় 'বসু বিজ্ঞান মন্দির' তৈরি করেছেন --- ৩০ নভেম্বর ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে।
২৪) জগদীশচন্দ্র বসুর বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম ও শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধগ্রন্থ --- "অব্যক্ত" (১৯২১/১৩২৮)। এই গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছিলেন --- স্বয়ং লেখক।
২৫) জগদীশচন্দ্র বসুর "অব্যক্ত" (১৯২১/১৩২৮) প্রবন্ধগ্রন্থে নিবন্ধ বা রচনার সংখ্যা --- মোট ২০টি। জগদীশচন্দ্রের 'শতবার্ষিকী সংস্করণ'-এ এই প্রবন্ধগ্রন্থে আর ১টি নিবন্ধ যুক্ত হয়ে প্রবন্ধের সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় --- মোট ২১টি।
২৬) জগদীশচন্দ্র বসুর "অব্যক্ত" (১৯২১/১৩২৮) প্রবন্ধগ্রন্থের প্রথম নিবন্ধ --- "যুক্তকর" (১৮৯৪)।
২৭) জগদীশচন্দ্র বসুর "অব্যক্ত" (১৯২১/১৩২৮) প্রবন্ধগ্রন্থের শেষ নিবন্ধ --- "হাজিরা"।
২৮) জগদীশচন্দ্র বসুর বাংলা ভাষায় রচিত দ্বিতীয় প্রবন্ধগ্রন্থ বা প্রবন্ধ-সংকলন গ্রন্থ হল --- "প্রবন্ধাবলী" (১৯৩৩/১৩৪০)।
২৯) রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ হল --- "বিবিধপ্রসঙ্গ" (১৮৮৩)।
৩০) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দু'টি ব্যক্তিগত প্রবন্ধগ্রন্থ হল --- "পঞ্চভূত" (১৮৯৭/১৩০৪) ও "বিচিত্র প্রবন্ধ" (১৯০৭/১৩১৪)।
৩১) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনীমূলক প্রবন্ধগ্রন্থগুলি হল --- "জীবনস্মৃতি" (১৯১২), "ছেলেবেলা" (১৯১২) এবং "আত্মপরিচয়" (১৯৪০)।
৩২) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবদ্দশায় প্রকাশিত তিনটি জীবনীমূলক প্রবন্ধগ্রন্থ বা জীবনীগ্রন্থের নাম হল --- "চারিত্রপূজা" (১৯০৭), "ভারতপথিক রামমোহন রায়" (১৯৩৩) এবং "মহাত্মা গান্ধী"।
৩৩) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মরণোত্তর প্রকাশিত দু'টি জীবনীমূলক প্রবন্ধগ্রন্থ বা জীবনীগ্রন্থের নাম হল --- "বুদ্ধদেব" (১৯৫৫) ও "খৃষ্ট" (১৯৫৯)।
৩৪) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাবিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থ হল --- "শিক্ষা" (১৯০৮)।
৩৫) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধর্ম ও দর্শনবিষয়ক তিনটি প্রবন্ধগ্রন্থ হল --- "ধর্ম" (১৯০৯), "শান্তিনিকেতন" (১৯০৯-১৬) এবং "মানুষের ধর্ম" (১৯৩৩)।
৩৬) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থটি হল --- "বিশ্বপরিচয়" (১৯৩৭)।
৩৭) রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর "জিজ্ঞাসা" প্রবন্ধগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় --- ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে।
৩৮) রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর "জিজ্ঞাসা" (১৯০৩) হল --- বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থ।
৩৯) "পরিব্রাজক" প্রবন্ধগ্রন্থটির রচয়িতা --- স্বামী বিবেকানন্দ।
৪০) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "কালান্তর" প্রবন্ধগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় --- ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে।
৪১) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা "সভ্যতার সংকট" প্রবন্ধগ্রন্থটির প্রকাশকাল --- ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দ।
৪২) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবদ্দশায় প্রকাশিত শেষ প্রবন্ধগ্রন্থটি হল --- "সভ্যতার সংকট" (১৯৪১)।
৪৩) স্বামী বিবেকানন্দের "বর্তমান ভারত" প্রবন্ধগ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় --- মার্চ ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে "উদ্বোধন" পত্রিকায়।
৪৪) স্বামী বিবেকানন্দের "বর্তমান ভারত" প্রবন্ধগ্রন্থটি বই আকারে প্রকাশিত হয় --- ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে।
৪৫) "ভারতবর্ষ" (১৯০৬) প্রবন্ধগ্রন্থটি হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের --- স্বদেশবিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থ।
৪৬) "যাত্রা" (১৮৭৫), "বৈজিকতত্ত্ব", "বৃত্রসংহার", "বাল্যবিবাহ", "সৎকার" ইত্যাদি প্রবন্ধগ্রন্থের লেখক --- সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৪-১৮৮৯)।
৪৭) "বীরবল" ছদ্মনামের বাংলা প্রবন্ধকার হলেন --- প্রমথ চৌধুরী।
৪৮) "বীরবল" ছদ্মনামে রচিত প্রমথ চৌধুরীর তিনটি প্রবন্ধগ্রন্থ হল --- "বীরবলের হালখাতা" (৩ সেপ্টেম্বর ১৯১৭), "দু-ইয়ারকি" (১৯২১) এবং "বীরবলের টিপ্পনী" (১৯২১)।
৪৯) "সবুজপত্র" (১৯১৪) পত্রিকাটি সম্পাদনা করেছেন --- প্রমথ চৌধুরী।
৫০) "বিদ্যোৎসাহিনী" (২০ এপ্রিল ১৮৫৫) পত্রিকাটি সম্পাদনা করেছেন --- কালীপ্রসন্ন সিংহ।
৫১) "চিত্র ও কাব্য" (১৩০১ বঙ্গাব্দ) প্রবন্ধগ্রন্থটির লেখক --- বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর ।
৫২) বলেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল হল --- ১৮৭০-১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দ।
৫৩) সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ হল --- "বাঙ্গালা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা" (১৯২৯)।
৫৪) সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের জীবদ্দশায় প্রকাশিত শেষ প্রবন্ধগ্রন্থ হল --- "সংস্কৃতি শিল্প ইতিহাস" (১৯৭৬)।
৫৫) "রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন" (১৩৫১ বঙ্গাব্দ) [রবীন্দ্র-জীবনীবিষয়ক সমালোচনাগ্রন্থ], "রবীন্দ্র কাব্য প্রবাহ" (প্রথম খণ্ড : ১৩৫৫ বঙ্গাব্দ ও দ্বিতীয় খণ্ড : ১৯৫১), "রবীন্দ্র নাট্য প্রবাহ" (১৩৭৩ বঙ্গাব্দ) ইত্যাদি সমালোচনামূলক প্রবন্ধগ্রন্থগুলির রচয়িতা --- প্রমথননাথ বিশী।
৫৬) "জীবন শিল্পী" (১৯৪১), "দেশ-কাল-পাত্র" (১৯৪৯), "রবীন্দ্রনাথ" (১৯৬২) [রবীন্দ্র-জীবনীবিষয়ক সমালোচনাগ্রন্থ] ইত্যাদি প্রবন্ধগ্রন্থগুলির লেখক --- অন্নদাশঙ্কর রায়।
৫৭) "ক্ষীরের পুতুল" (১৯০৮) ও "ঘরোয়া"(১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) প্রবন্ধগ্রন্থদু'টির রচয়িতা --- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৫৮) "পূর্ব-পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা" (১৯৫৬/১৩৬৩) ও "চতুরঙ্গ" (১৯৬০/১৩৬৭) প্রবন্ধগ্রন্থদু'টির লেখক --- সৈয়দ মুজতবা আলী।
৫৯) সৈয়দ মুজতবা আলীর "বড়বাবু" (১৯৬৬/১৩৭২) প্রবন্ধগ্রন্থের 'বড়বাবু' হলেন --- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অগ্রজ দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৬০) সৈয়দ মুজতবা আলীর জার্মান ও হিটলার কেন্দ্রিক রচিত প্রবন্ধগ্রন্থটি হল --- "হিটলার" (১৯৭০/১৩৭৭)।
৬১) সৈয়দ মুজতবা আলীর স্মৃতিচারণামূলক প্রবন্ধগ্রন্থটি হল --- "কত না অশ্রুজল" (১৯৭১/১৩৭৮)।
৬২) সৈয়দ মুজতবা আলীর মরণোত্তর প্রকাশিত দু'টি প্রবন্ধগ্রন্থ হল --- "পরিবর্তনে অপরিবর্তনীয়" (১৯৭৬/১৩৮২) ও "গুরুদেব ও শান্তিনিকেতন" (১৯৮১/১৩৮৮) [রবীন্দ্র-জীবনীবিষয়ক সমালোচনা ও আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ]।
- আলোচক : সৌম্য মাইতি
- যোগাযোগ : ৬২৯০৩৭৭১৩৪
- S.L.S.T বাংলা অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে চাইলে ফোন করে যোগাযোগ করুন আমার ৬২৯০৩৭৭১৩৪ নম্বরে, অথবা আমার WhatssApp-তে ম্যাসেজ করুন ৮৭৬৮৮৩০২৩০ নম্বরে। ধন্যবাদ।
Post a Comment