নবম শ্রেণির 'সাহিত্য সম্ভার' বইয়ের সমস্ত উৎস
নবম শ্রেণির দ্বিতীয় ভাষা অর্থাৎ 'সাহিত্য সম্ভার' বইয়ের সমস্ত উৎস নীচে দেওয়া হল ---
¤ কবিতা :-
১) "বীরবাহুর মৃত্যুতে রাবণ" --- কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের "মেঘনাদবধ কাব্য" (১৮৬১) কাব্যগ্রন্থের প্রথম সর্গ "অভিষেক" থেকে গৃহীত।
২) "জ্যোতি" --- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "গীতালি" (১৯১৪/১৩২১) কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত। এটি মূলত একটি রবীন্দ্রসংগীত। পরবর্তীতে এই গানটি রবীন্দ্রনাথ রচিত "অচলায়তন" (রচনাকাল : ১৯১১ ও প্রকাশকাল : ১৯১২) এবং এই নাটকেরই ক্ষুদ্র সংস্করণ "গুরু" (১৯১৮/১৩২৪) নাটকেও ব্যবহৃত হয়েছে।
৩) "নগরলক্ষ্মী" --- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "কথা" (১৯০০/১৩০৬) কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত। এটি "কথা" কাব্যগ্রন্থের ১০ সংখ্যক কবিতা। পরবর্তীতে এই কবিতাটি তাঁর "কথা ও কাহিনী" (১৯০৮) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়।
৪) "ধনধান্যপুষ্পভরা" --- কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের "আর্যগাথা" (১ম খণ্ড : ১৮৮২ ও ২য় খণ্ড : ১৮৯৩) কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত। পরবর্তীতে এটি তাঁর "সাজাহান" (১৯০৯) নাটকে স্থান পায়।
৫) "কাজলাদিদি" --- কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর "কাব্য-মালঞ্চ" (১৯৩৬/১৩৪৩) কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত।
৬) "ডাকটিকিট" --- কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের "বেণু ও বীণা" (১৯০৬/১৩১৩) কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত।
৭) "ঈশ্বর" --- কবি কাজী নজরুল ইসলামের "সাম্যবাদী" (১৯২৫/১৩৩২) কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
৮) "এখানে আকাশ নীল" --- কবি জীবনানন্দ দাশের "রূপসী বাংলা" (রচনাকাল : ১৯৩৪ ও প্রকাশকাল : ১৯৫৭) কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
৯) "মধুমতি নদী দিয়া" --- পল্লি কবি জসীমউদ্দীনের "সোজন বাদিয়ার ঘাট" (১৯৩৪) কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
১০) "ইলিশ" --- কবি বুদ্ধদেব বসুর "দময়ন্তী" (১৯৪৩) কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
১১) "জননী বঙ্গভূমি" --- কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের "কাল মধুমাস" (১৯৬৬/১৩৭৩) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
¤ গদ্য বা প্রবন্ধ :-
১) "বাঙ্গালার ইতিহাস" --- প্রাবন্ধিক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের "বাঙ্গালার ইতিহাস" (১৮৪৮) গদ্যগ্রন্থ বা প্রবন্ধগ্রন্থ থেকে গৃহীত। এটি ইংরেজ সাহিত্যিক জন ক্লার্ক মার্শম্যানের "Outline of the History of Bengal for the use of Yoths in India" গ্রন্থের শেষ নয় নয় অধ্যায় (একাদশ-ঊনবিংশ)-এর বাংলা অনুবাদ।
২) "গগন-পটো" --- প্রাবন্ধিক অক্ষয়চন্দ্র সরকারের "গোচারণের মাঠে" (১৮৭৪) গদ্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
৩) "যাত্রা" --- প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "পথের সঞ্চয়" (১৯৩৯/১৩৪৬) প্রবন্ধগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
৪) "অধ্যয়ন ও জ্ঞানলাভ" --- প্রাবন্ধিক প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের "আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী" (১৯২৭/১৩৩৪) প্রবন্ধগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
৫) "চিল্কা" --- প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলীর "ধূপছায়া" (১৯৫৭/১৩৬৪) প্রবন্ধগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
¤ গল্প :-
১) "কঙ্কাবতী" --- কথাসাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের "কঙ্কাবতী" (১৮৯২) উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত।
২) "পোস্টমাস্টার" --- কথাসাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "গল্পগুচ্ছ" (১৯২৬/১৩৩৩) গল্প-সংকলন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
৩) "ইন্দ্রনাথ ও শ্রীকান্ত" --- কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের "শ্রীকান্ত" (১৯১৭/১৩২৩) উপন্যাসের প্রথম খণ্ড থেকে গৃহীত।
৪) "ঠেলাগাড়ি" --- কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের "কিশোর রচনা সমগ্র" গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। [এখানে তাঁর ৫টি উপন্যাস স্থান পেয়েছে। "চাঁদের পাহাড়" (১৯৩৮), "মরণের ডাকা বাজে" (১৯৪০), "মিসমিদের কবচ" (১৯৪২), "হীরা মাণিক জ্বলে" (১৯৪৬), "সুন্দরবনে সাত বৎসর" (১৯৫২ : ভুবনমোহন রায়ের সঙ্গে যুগ্মভাবে রচিত)]।
৫) "সভাকবি" --- কথাসাহিত্যিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের "আত্মঘাতীর ডায়েরী" গল্পগ্রন্থ থেকে গৃহীত।
৬) "পটোদিদি" ---কথাসাহিত্যিক লীলা মজুমদারের "ফেরোর খাতা" (১৯৮২) স্মৃতিচারণামূলক গ্রন্থের ১০ সংখ্যক গল্প।
৭) "আমার ছোটোবেলা" --- কথাসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর "আমার ছেলেবেলা" (১৯৩২) নামক স্মৃতিচারণামূলক গ্রন্থ থেকে গৃহীত।
¤ অনুবাদ সাহিত্য (কবিতা এবং নাটক) :-
১) "শামুক" ("XAAMUK") --- অসমীয়া কবি অনুপমা বসুমাতারির "রূপালী রাতের ঘাট" কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। এই কাব্যগ্রন্থটির তর্জমা করেছেন কবি মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
২) "বাজি" --- রুশ নাট্যকার আন্তন চেখভের নাটক। এর ইংরেজি নাম "The Bet" (১৮৮৯)। এই নাটকটির তর্জমা করেছেন সম্ভবত সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়।
¤ নাটক :-
১) "প্রতাপাদিত্য" --- নাট্যকার ক্ষীরোদপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের "বঙ্গের প্রতাপাদিত্য" (১৯০৩) নাটক থেকে গৃহীত।
- আলোচক : সৌম্য মাইতি
- যোগাযোগ : ৬২৯০৩৭৭১৩৪
- S.L.S.T বাংলা অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে চাইলে ফোন করে যোগাযোগ করুন আমার ৬২৯০৩৭৭১৩৪ নম্বরে, অথবা আমার WhatssApp-তে ম্যাসেজ করুন ৮৭৬৮৮৩০২৩০ নম্বরে। ধন্যবাদ।
Post a Comment