কথাসাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এখানে আমার অনলাইন ক্লাস থেকে কথাসাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে ৩৩টি প্রশ্ন ও কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে ১৮টি প্রশ্নসহ মোট ৫১টি প্রশ্ন রয়েছে। তার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ থেকে ১০টি প্রশ্নের উত্তর ও শরৎচন্দ্র থেকে ৬টি প্রশ্নের উত্তরসহ মোট ১৬টি প্রশ্নের উত্তর এখানে দেওয়া হয়েছে। যারা সহজ প্রশ্নের পাশাপাশি বাকি ৩৫টি এ ধরনের মিডিয়াম ও কঠিন প্রশ্নের ২ নম্বরের উত্তর পেতে চান, তারা আমার অনলাইন ব্যাচে জয়েন হতে পারেন। গ্রুপের সবার কথা ভেবে একদম অল্পমূলে বাংলা বিষয়ের সব ক্লাস এখানে করানো হয়। প্রতিটি নোটস ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সময় ধরে ক্লাসে লিখিয়ে দেওয়া হয়। সর্বোপরি সিলেবাস তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য সপ্তাহে ৩-৪টি ডেট ক্লাস করানো হয়। সবচেয়ে বড়ো কথা হল যে এখানে আমার প্রশ্ন ব্যতীত ছাত্রছাত্রীদের নিজস্ব মন থেকে দেওয়া সমস্ত ২ নম্বরের প্রশ্নের উত্তরও এখানে লিখিয়ে দেওয়া হয়। যারা আমার ক্লাসে জয়েন করতে চান, তারা আমার ৬২৯০৩৭৭১৩৪ নম্বরে ফোন করুন, অথবা আমার ৮৭৬৮৮৩০২৩০ WhatsApp নম্বরে নিজের নামসহ ম্যাসেজ করুন।
১) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে 'বাংলার শেলী' বলে অভিহিত করা হয় কেন?
★উত্তর - উনিশ শতকের বিখ্যাত ইংরেজ কবি পার্সি বিসি শেলী ও বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উভয়েই ছিলেন সৌন্দর্য, সত্য ও সুন্দরের পূজারী এবং উপাসক। তাঁদের দু'জনেরই কাব্যগ্রন্থে কল্পনার প্রাবল্য, প্রকৃতি প্রেম, রোমান্টিকতা, সৌন্দর্য ও ভাবাদর্শের সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া তাঁদের দু'জনেরই কাব্যগ্রন্থে তাঁদের জীবনদর্শনের একই ভাববস্তু বারংবার ফুটে উঠেছে। এ সমস্ত কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে 'বাংলার শেলী' বলে অভিহিত করা হয়।
২) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে 'বিশ্বকবি', 'কবিগুরু' ও 'গুরুদেব' উপাধিতে কারা ভূষিত করেন?
৩) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
★উত্তর - 'বাংলা সাহিত্যিক চরিতমালা' (আধুনিক যুগ : প্রথম খণ্ড) বইতে ১৩৩ পৃষ্ঠায় দেওয়া আছে।
৪) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'চোখের বালি' (১৯০৩/১৩০৯) উপন্যাসের কয়েকটি গুরুত্ব লিখুন।
★উত্তর - 'বাংলা সাহিত্যিক চরিতমালা' (আধুনিক যুগ : প্রথম খণ্ড) বইতে ১২৩ পৃষ্ঠায় দেওয়া আছে।
৫) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'চোখের বালি' (১৯০৩/১৩০৯) উপন্যাসের কোন্ চরিত্রটিকে আপনার ভালো লাগে? এবং কেন ভালো লাগে?
★উত্তর - 'বাংলা সাহিত্যিক চরিতমালা' (আধুনিক যুগ : প্রথম খণ্ড) বইতে ১২৩ পৃষ্ঠায় দেওয়া আছে।
৬) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'চোখের বালি' (১৯০৩/১৩০৯) উপন্যাসকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক এবং শ্রেষ্ঠ 'মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস' বলা হয় কেন?
৭) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'চোখের বালি' (১৯০৩/১৩০৯) উপন্যাসকে সার্থক 'মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস' বা 'মনস্তত্ত্বমূলক উপন্যাস' বলা হয় কেন?
★উত্তর - (ক) এই উপন্যাসে ঘটনার ঘনঘটা নেই।
(খ) এই উপন্যাসে চরিত্রের সংখ্যা কম - যেহেতু প্রতিটি চরিত্রকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে লেখককে চিত্রিত করতে হয়েছে।
(গ) প্রায় প্রতিটি প্রধান চরিত্রের অন্তর্জগৎকে এই উপন্যাসে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
(ঘ) এই উপন্যাসে চরিত্রগুলোর মনস্তাত্ত্বিক দোলাচল অবস্থা ফুটে উঠেছে।
(ঙ) 'চোখের বালি' উপন্যাসে সূক্ষ্ম মনস্তত্ত্বের মাধ্যমে রূপক-সংকেতের ব্যবহার ঘটেছে।
(চ) এই উপন্যাসের ভাষা হয়েছে কাব্যগ্রন্থী।
৮) "চোখের বালি' (১৯০৩/১৩০৯)-কে উপন্যাস সাহিত্যে নবযুগের প্রবর্তক বলা যাইতে পারে।" --- শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বঙ্গসাহিত্যে উপন্যাসের ধারা' গ্রন্থে এমন মন্তব্যের কারণ কী?
৯) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'নৌকাডুবি' (১৯০৬/১৩১৩) উপন্যাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন।
১০) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'গোরা' (১৯১০/১৩১৬) উপন্যাসকে 'মহাকাব্যিক উপন্যাস' বলা হয় কেন?
★উত্তর - 'বাংলা সাহিত্যিক চরিতমালা' (আধুনিক যুগ : প্রথম খণ্ড) বইতে ১২৫ পৃষ্ঠায় দেওয়া আছে।
১১) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'গোরা' (১৯১০/১৩১৬) উপন্যাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন।
★উত্তর - 'বাংলা সাহিত্যিক চরিতমালা' (আধুনিক যুগ : প্রথম খণ্ড) বইতে ১২৫ পৃষ্ঠায় দেওয়া আছে।
১২) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'গোরা' (১৯১০/১৩১৬) উপন্যাসের কোন্ চরিত্রটিকে আপনার ভালো লাগে? এবং কেন ভালো লাগে?
★উত্তর - 'বাংলা সাহিত্যিক চরিতমালা' (আধুনিক যুগ : প্রথম খণ্ড) বইতে ১২৫ পৃষ্ঠায় দেওয়া আছে।
১৩) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যে মহাকাব্যিক উপন্যাস রচনা করলেও তিনি মহাকাব্য রচনায় মনোনিবেশ করেন নি কেন?
★উত্তর - 'বাংলা সাহিত্যিক চরিতমালা' (আধুনিক যুগ : প্রথম খণ্ড) বইতে ১৩০ পৃষ্ঠায় দেওয়া আছে।
১৪) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ঘরে বাইরে' (১৯১৬/১৩২৩) উপন্যাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
১৫) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ঘরে বাইরে' (১৯১৬/১৩২৩) উপন্যাসে দেশপ্রেমের নামে যে কিছুটা ভণ্ডামি প্রকাশ পেয়েছে --- তা নিজের ভাষায় ব্যক্ত করুন।
★উত্তর - উপন্যাসে সন্দীপের দেশপ্রেমিক সত্তার টানেই বিমলা সমাজ, সংস্কারকে অগ্রাহ্য করে বাইরের সমাজে এসেছে। একদিকে সে সন্দীপকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, স্বামী নিখিলেশের টাকা চুরি করে তাকে দিয়েছে। অপরদিকে সন্দীপ দেশপ্রেমের নামে ভণ্ডামি করে বিমলার সামনে তুলে ধরেছে -- আধুনিককালের স্ত্রী-পুরুষের সম্পর্ক, ইংরেজি ও বৈষ্ণবপ্রেমের কবিতা, আর্টের কথা। উপন্যাসে কোথাও সন্দীপের সংগ্রামী বিদ্রোহাত্মক কর্মকলাপ নেই। আবার শেষ পর্যন্ত সন্দীপ সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের আগুন জ্বালিয়েছে।
১৬) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'চতুরঙ্গ' (১৯১৬/১৩২৩) উপন্যাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন।
১৭) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'যোগাযোগ' (১৯২৯/১৩৩৬) উপন্যাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
১৮) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'যোগাযোগ' (১৯২৯/১৩৩৬) উপন্যাস 'ট্র্যাজেডি উপন্যাস' হিসেবে কতটা সার্থক? --- তা নিজের ভাষায় বিচার করুন।
★উত্তর - কুমুদিনী আত্মসম্মানী, দৃঢ়চেতা নারী হলেও বয়সের ব্যবধানকে তুচ্ছ করে প্রাণপ্রিয় দাদা বিপ্রদাসের মতকে প্রাধান্য না দিয়ে মধুসূদনকে বিবাহ করে। কিন্তু বিবাহপরবর্তী স্বামীর স্নেহ-ভালোবাসাহীন প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা কুমুদিনীর সংযোমবোধের সীমা অতিক্রম করেছে। আবার ভাগ্যের নিদারুণ পরিহাসে সন্তানসম্ভবা কুমুদিনীকে ফিরে যেতে হয়েছে স্বামীর কাছেই। তাই এই উপন্যাসে কুমুদিনীর অন্তর্জীবনের প্রবল সংঘাতে ট্র্যাজেডির কিছুটা আভাস থাকলেও ট্র্যাজেডির গুণগত মানে এটি সার্থক ট্র্যাজেডি নয়।
১৯) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'শেষের কবিতা' (১৯২৯/১৩৩৬) উপন্যাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
২০) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'শেষের কবিতা' (১৯২৯/১৩৩৬) উপন্যাসের কোন্ চরিত্রটিকে আপনার ভালো লাগে? এবং কেন ভালো লাগে?
★উত্তর - 'বাংলা সাহিত্যিক চরিতমালা' (আধুনিক যুগ : প্রথম খণ্ড) বইতে ১২৮ পৃষ্ঠায় দেওয়া আছে।
২১) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'শেষের কবিতা' (১৯২৯/১৩৩৬) উপন্যাসকে 'রোমান্টিকধর্মী উপন্যাস' বলা হয় কেন?
২২) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'শেষের কবিতা' (১৯২৯/১৩৩৬) উপন্যাসের কাব্যধর্মিতা আলোচনা করুন।
২৩) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'শেষের কবিতা' (১৯২৯/১৩৩৬) উপন্যাসকে সার্থক 'কাব্যধর্মী উপন্যাস' বা 'কাব্যোপন্যাস' বলা হয় কেন?
★উত্তর - (ক) এই উপন্যাসে প্লটের বিন্যাসের দ্বারা পাঠকের কাহিনি রস পিপাসাকে চরিতার্থ করার কোনো চেষ্টা লক্ষিত হয় না।
(খ) চরিত্রগুলোর বাইরের আচরণের চেয়ে মনস্তাত্ত্বিক আবরণ উন্মোচনই এখানে প্রধান হয়ে উঠেছে।
(গ) উপন্যাসে বর্ণনা-প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়, কিন্তু এই বর্ণনা কাব্যময় হয়ে উঠেছে।
(ঘ) 'শেষের কবিতা' উপন্যাসের ভাষা অত্যন্ত কোমল, রোমান্টিক এবং গীতিময়।
(ঙ) বুদ্ধদেব বসুর ভাষায় এই উপন্যাসটি 'কবিতার কলমে লেখা' উপন্যাস।
২৪) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'মালঞ্চ' (১৯৩৪/১৩৪০) উপন্যাস 'ট্র্যাজেডি উপন্যাস' হিসেবে কতটা সার্থক? --- তা নিজের ভাষায় বিচার করুন।
★উত্তর - নায়ক আদিত্যকে কেন্দ্র করে নীরজা ও সরলার প্রণয়-দ্বন্দ্ব এখানে দেখা দিয়েছে। কাহিনির শেষে রুগ্ণা নীরজার বেদনাবিধুর চিত্র প্রেমের 'মালঞ্চে' ট্র্যাজেডির দীর্ঘশ্বাসকে ঘনীভূত করেছে। মৃত্যু রক্ষার অসহায় সংগ্রাম, স্বামীর প্রতি তার অনুদার সন্দেহ, ফুলবাগানের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার করুণ আগ্রহ এবং তার ট্র্যাজিক পরিণতি-অঙ্কন এ উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশ্য। কঠিন জীবনপ্রেমিক নীরজার ভালোবাসার ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব, পরাজয় এবং সার্থক ট্র্যাজেডি 'মালঞ্চে'র মর্মকথা।
২৫) রবীন্দ্র উপন্যাসের ভাষাশৈলী সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিন।
★উত্তর - রবীন্দ্র-উপন্যাসের ভাষাশৈলী বাংলা সাহিত্যের চিরস্থায়ী সম্পদ। প্রথমদিকের 'বউ ঠাকুরাণীর হাট' ও 'রাজর্ষি' উপন্যাসের ভাষায় সাধু গদ্যের প্রকৃতি অনেক পরিমাণে বঙ্কিমী-গদ্যের চালে বিন্যস্ত হয়েছিল। পরবর্তীকালে কিন্তু তার বিস্ময়কর পরিবর্তন দেখা যায়। এই পরিবর্তন শুরু হয় 'ঘরে বাইরে' থেকে। এখানে দুই ভাষারীতি এবং ভঙ্গিমার মধ্যে রচনারীতির পরিবর্তন কোনোমতেই দৃষ্টি এড়ায় না।
২৬) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য নিরূপণ করুন।
★উত্তর - (ক) বঙ্কিমচন্দ্রের স্বদেশিয়ানার সুগভীর আবেগ রবীন্দ্র-উপন্যাসে অনুপস্থিত। এখানে চরিত্রগুলি যতটা ইতিহাসনিষ্ঠ, তার তুলনায় অনেক পরিমাণে ভাব বা তত্ত্বের বাহন।
(খ) বঙ্কিম-উপন্যাসে কাহিনির দৃঢ়পিনব্ধ ভাব ও দুর্বার গতি রবীন্দ্র-উপন্যাসের প্রাথমিক পর্যায়ে বিরলদৃষ্ট। চরিত্র নিয়ন্ত্রণের কুশলতাও বঙ্কিম-উপন্যাসে অধিক বলে মনে হয়।
(গ) রোমান্সের মায়াবিস্তার এবং কল্পনার ইন্দ্রধনুচ্ছটায় বঙ্কিম-উপন্যাসের কাহিনি জগৎ আলোকিত। সেই রূপকথার রাজ্য ছেড়ে কিশোর রবি কিন্তু স্বেচ্ছায় যে জগতে নেমে এসেছেন তা কিন্তু ধূসর ইতিহাস মাত্র নয়। তা অনেক পরিমাণে বাস্তব এবং সহজ ও সাধারণ।
(ঘ) নামকরণের দিক থেকে অধিকতর কবি-কল্পনা অনুভব করা যায় 'বউ ঠাকুরাণীর হাট' উপন্যাসে। 'রাজর্ষি' নামটি ইঙ্গিতমূলক ব'লে মনে হয়। স্পষ্টতই এই নামকরণ বঙ্কিমচন্দ্রের থেকে ভাবধর্মী।
(ঙ) হিন্দুয়ানির উৎপাত থেকেও রবীন্দ্র-উপন্যাসের ইতিহাসময় জগৎ সম্পূর্ণ মুক্ত। এখানে উত্তরসূরী রবীন্দ্রনাথ যেন পূর্বসূরি বঙ্কিমচন্দ্রকে অতিক্রম করে গেছেন।
২৭) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটোগল্পের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন।
★উত্তর - 'বাংলা সাহিত্যিক চরিতমালা' (আধুনিক যুগ : প্রথম খণ্ড) বইতে ১৪৬ পৃষ্ঠায় দেওয়া আছে।
২৮) 'রবীন্দ্রনাথের ছোটোগল্পে নারী-ব্যক্তিত্ব' শিরোনামের একটি অনুচ্ছেদ লিখুন।
★উত্তর - 'বাংলা সাহিত্যিক চরিতমালা' (আধুনিক যুগ : প্রথম খণ্ড) বইতে ১৪৭ পৃষ্ঠায় দেওয়া আছে।
২৯) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমাজসচেতনার পরিচয় আছে কোন্ কোন্ গল্পে? এ প্রসঙ্গে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিন।
★উত্তর - সামাজিক কুপ্রথা হিসাবে পণপ্রথার হৃদয়হীন চিত্র যেমন 'দেনাপাওনা'র পর আবার 'যজ্ঞেশ্বরের যজ্ঞ', 'হৈমন্তী'তে দেখা গেছে, তেমনি 'ত্যাগ' গল্পে ব্রাহ্মণ হেমন্তের কায়স্থ ও বাল্যবিধবা কুসুমকে বিয়ে করার সংবাদে পুরুষের সংস্কার-মুক্তির পরিচয় ফুটে উঠেছে। সমাজে বিচারক স্বয়ং অপরাধী হওয়া সত্ত্বেও বিচার করার নৈতিক অধিকার রক্ষার তীব্র ব্যঙ্গরূপ 'বিচারক' গল্প - অপরূপ গাম্ভীর্য অথচ ধারালো, শানিত এবং সহজ।
৩০) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'একরাত্রি' ও 'শাস্তি' ছোটগল্পদু'টির সমাপ্তিসূচক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন।
★উত্তর - এই দু'টি ছোটগল্পে জীবনের পূর্ণাবয়বকে নয়, বিশেষ মুহূর্তকে বিশেষ পরিবেশের মধ্যে রূপায়ণ করা হয়েছে। তাই এগুলি সূচিত হয় আকস্মিকভাবে ইঙ্গিতময়তার মধ্য দিয়ে এবং সূচনার পাশাপাশি সমাপ্তিও ঘটে নাটকীয়ভাবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই দু'টি ছোটগল্পের সমাপ্তির এই বৈশিষ্ট্যই পাঠকের মনে আনে অতৃপ্তির আস্বাদ এবং তাদের মনে হয় 'শেষ হয়েও হইল না শেষ'।
৩১) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সবুজপত্র' পত্রিকায় প্রকাশিত অর্থাৎ ১৯১৪-১৯১৮খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তৃতীয় পর্যায়ের গল্পগুলির বৈশিষ্ট্য লিখুন।
★উত্তর - এ পর্যায়ের গল্পগুলি পূর্ববর্তী পর্যায় থেকে কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে চিহ্নিত। সেগুলি হল - সনাতনী ঐতিহ্যের বিশ্লেষণে স্রষ্টা তথা তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলির মধ্যে যুক্তিজাগর মনোভঙ্গি, নারীমনের নিষ্কুণ্ঠ, নির্ভীক বিদ্রোহ, মর্যাদা ও মুক্তির দাবি, অবক্ষয়ী সামন্তসমাজের বুকে উদ্ভিন্ন ধনবাদের বিপ্রতীপ টানাপোড়েনে মূল্যবোধ-বিধ্বস্ত মানুষের ছবি এবং বাচনে, লেখনে তীক্ষ্ণ তির্যক ভাষা-ব্যবহারের প্রবণতা।
৩২) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্থ বা শেষ পর্যায়ের (১৯৪০-১৯৪১ খ্রি.) গল্পরচনার ফলশ্রুতি হিসাবে 'তিনসঙ্গী' (১৩৪৭ ব.) গল্পগ্রন্থের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন।
★উত্তর - (ক) প্রথম গল্প 'রবিবার'-এ একটি মনোরম প্রেমকাহিনি প্রকাশ পেয়েছে।
(খ) দ্বিতীয় গল্প 'শেষকথা'য় অচিরার অন্ধ আকর্ষণে নবীনমাধবের অনিচ্ছালব্ধ মুক্তির বৃত্তান্ত ফুটে উঠেছে।
(গ) তৃতীয় বা শেষ গল্প 'ল্যাবরেটরি'তে সোহিনী নামে এক অসাধারণ রমনীর প্রলোভনের অগ্নিচক্র রচনা করে নন্দকিশোরের অসমাপ্ত বিজ্ঞানযজ্ঞের ঋত্বিক-সন্ধানের বিফলতার বিচিত্র কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।
৩৩) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের ছোটোগল্পের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য নিরূপণ করুন।
কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে 'বাংলার ডিকেন্স' বলা হয় কেন?
★উত্তর - 'বাংলা সাহিত্যিক চরিতমালা' (আধুনিক যুগ : প্রথম খণ্ড) বইতে ১৭৮ পৃষ্ঠায় দেওয়া আছে।
২) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে 'বাংলা সাহিত্যের কথাশিল্পী' বলে অভিহিত করা হয় কেন?
★উত্তর - 'বাংলা সাহিত্যিক চরিতমালা' (আধুনিক যুগ : প্রথম খণ্ড) বইতে ৫৯৫ পৃষ্ঠায় দেওয়া আছে।
৩) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
★উত্তর - 'বাংলা সাহিত্যিক চরিতমালা' (আধুনিক যুগ : প্রথম খণ্ড) বইতে ৫৮৯ পৃষ্ঠায় দেওয়া আছে।
৪) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'পল্লীসমাজ' (১৯১৬/১৩২২) উপন্যাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন।
৫) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে 'বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক' বা 'বিশ্বের প্রথম শ্রেণির সাহিত্যিক' কে, কেন বলেছেন?
অথবা, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন্ উপন্যাসটি পড়ে কে তাঁকে 'বিশ্বের প্রথম শ্রেণির সাহিত্যিক' বলে অভিহিত করেছেন?
★উত্তর - 'বাংলা সাহিত্যিক চরিতমালা' (আধুনিক যুগ : প্রথম খণ্ড) বইতে ১৭৮ পৃষ্ঠায় দেওয়া আছে।
৬) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'শ্রীকান্ত' (৪টি খণ্ড) উপন্যাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
৭) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'শ্রীকান্ত' (৪টি খণ্ড) উপন্যাসকে সার্থক 'আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস' বলা হয় কেন?
★উত্তর - (ক) এই উপন্যাসটি উত্তম পুরুষ সর্বনামে রচিত। শরৎচন্দ্র শ্রীকান্তের বিবৃতির ঢঙে উপন্যাসটি রচনা করেছেন।
(খ) আদ্যন্তযুক্ত প্লট এই উপন্যাসে না থাকলেও চার খণ্ডে সমাপ্ত 'শ্রীকান্ত' উপন্যাসের পরস্পর সম্পর্ক রহিত ঘটনাগুলি শ্রীকান্তের সূত্রে গ্রথিত হয়েছে।
(গ) বিচ্ছিন্ন এবং পরস্পর নিরপেক্ষ কাহিনিগুলো শ্রীকান্তের মাধ্যমেই এই উপন্যাসে একসূত্রে গ্রথিত হতে দেখা যায়।
(ঘ) 'শ্রীকান্ত' উপন্যাসটি এক চরিত্রকেন্দ্রিক হলেও এটি জটিল শ্রেণির উপন্যাস। এই উপন্যাসে যে সব কাহিনি পরিবেশিত হয়েছে তা হয় শ্রীকান্তের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা-সঞ্জাত, নতুবা তা অন্যের কাছে শ্রুত।
(ঙ) আত্মজীবনীমূলক উপন্যাসের চরিত্রগুলি কথকের সমসাময়িক বাস্তব জগৎ থেকে গৃহীত হয়ে থাকে, এ লক্ষণের সাদৃশ্য 'শ্রীকান্ত' উপন্যাসে মেলে।
(চ) এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র 'শ্রীকান্ত' যে শরৎচন্দ্রই -- এ সম্বন্ধে বহু সমালোচকই একমত। শরৎচন্দ্রের ভবঘুরে প্রকৃতি, তাঁর বর্মা বাস, তাঁর বন্ধনহীন একটা বৈরাগী মনোভঙ্গি প্রভৃতি বিষয় 'শ্রীকান্ত' চরিত্রের অনুরূপ।
(ছ) সর্বোপরি প্রৌঢ় বয়সে অভিজ্ঞতাভিত্তিক নিজ জীবনকথাকে আত্মকথনের রীতিতে এই উপন্যাসে পরিবেশন করেছেন শরৎচন্দ্র।
৮) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'চরিত্রহীন' (১৯১৭/১৩২৪) উপন্যাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন।
৯) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'গৃহদাহ' (১৯২০/১৩২৬) উপন্যাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
১০) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'পথের দাবী' (১৯২৬/১৩৩৩) উপন্যাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন।
★উত্তর - 'বাংলা সাহিত্যিক চরিতমালা' (আধুনিক যুগ : প্রথম খণ্ড) বইতে ৫৯৫ পৃষ্ঠায় দেওয়া আছে।
১১) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'শেষ প্রশ্ন' (১৯৩১/১৩৩৮) উপন্যাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
১২) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বেশিরভাগ উপন্যাসে বিধবা চরিত্রের উপস্থিতির কারণগুলি বর্ণনা করুন।
★উত্তর - (ক) তখনকার সমাজে বাল্যবিবাহ, কুলীন প্রথা প্রভৃতি সমাজে প্রচলিত ছিল।
(খ) তাঁর তীক্ষ্ণ এবং আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা নিপীড়িত বিধবা শ্রেণিকে তাঁর উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসে জনসমক্ষে তুলে ধরেছেন।
(গ) তখনকার সমাজের পল্লিসমাজের নিম্নবর্গের বিধবানারীদের সবাই ঘৃণার চোখে দেখত। এসব বিধবানারীদের শরৎচন্দ্র তাঁর উপন্যাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় স্থান দিয়ে তাদেরও সমাজে অন্যান্য সধবা নারীদের মতো সাবলীল করে তুলতে চেয়েছিলেন।
১৩) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটোগল্পের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন।
★উত্তর - 'বাংলা সাহিত্যিক চরিতমালা' (আধুনিক যুগ : প্রথম খণ্ড) বইতে ৫৯৫ পৃষ্ঠায় দেওয়া আছে।
১৪) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পশুপ্রেম ফুটে উঠেছে কোন্ কোন্ গল্পে? এ প্রসঙ্গে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিন।
১৫) শরৎসাহিত্যে নারী চরিত্র সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দিন।
★উত্তর - শরৎচন্দ্র তাঁর সাহিত্যে নারীকে বিশেষ মর্যাদার স্থান দিয়েছেন। তাঁর সৃষ্ট নারী চরিত্রগুলি সমাজের নিম্নস্তরের হলেও তা পাঠকমহলে বেশ আকর্ষণীয়। তাঁর নারী চরিত্রগুলি ত্যাগে, নিঃস্বার্থপ্রেমে, স্নেহে মোহনীয় হয়ে উঠেছে। সমাজের উপেক্ষিত স্তরে থাকা নারীদের মধ্যেও যে নিঃস্বার্থপ্রেম লুকিয়ে থাকে, যা সমাজের উচ্চস্তরের নারীদের প্রেমকেও হারিয়ে দিতে পারে, তার পরিচয় মেলে শরৎসাহিত্যে।
১৬) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্যে সমাজভাবনা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিন।
★উত্তর - শরৎচন্দ্রের কথাসাহিত্যের সমাজভাবনা বঙ্কিমচন্দ্র বঙ্কিমচন্দ্র বা রবীন্দ্রনাথের মতো নীতি-সৌন্দর্য-বিবেকের প্রশ্নে আলোড়িত নয়। ওই সমাজ বিশেষভাবে পল্লিসমাজ। পল্লিসমাজের সেই দুঃখ-দৈন্য প্রকাশের কাজে তাঁর কথাসাহিত্যে দেখা গেছে - 'একান্নবর্তী পরিবারের সমস্যা, জাতিভেদ ও কন্যাদায়ের সমস্যা, অকাল বৈধব্যের সমস্যা, দাম্পত্য অসমন্বয়ের সমস্যা, পদস্খলিতা নারীর সমস্যা। শরৎসাহিত্য প্রধানত নারী-মনের ভাষ্য, এ সত্য বহুজন স্বীকৃত।
১৭) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্যের গদ্যভাষা সম্পর্কে আলোচনা করুন।
★উত্তর - শরৎচন্দ্রের কথাসাহিত্যের গদ্যরীতিতে এমন এক মন্ময়-বস্তুগত বা তন্ময়-আত্মগত দৃষ্টিভঙ্গিমা তৈরি হয়েছে, যা সাধারণকে আদর্শ মেনেছে বলেই এরকম অসাধারণ। যেমন - 'খোলা মনে পথের পাশে উবু হয়ে বসে হুঁকো টানতে টানতে তিনি গফুরের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন', আর 'শ্রীকান্তের কথা বলতে গেলে নিজের পাগলাটেপনাটুকুও তাঁর গোপন থাকে না' লাইনদু'টি। এখানে তাঁর সাধারণ গদ্যরীতি অসাধারণত্বের স্তরে উঠে আসার সুযোগ চায়।
১৮) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্যে সীমাবদ্ধতা কোথায়?
★উত্তর - (ক) শরৎসাহিত্যে সমাজসমস্যা আলোচনার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রণালী নেই। সমাধানের কোনো সূক্ষ্ম ইঙ্গিত বা প্রতিকারের পথ-নির্দেশ তাঁর রচনায় পাওয়া যায় না।
(খ) শরৎচন্দ্র হিন্দুবিধবা নারীদের প্রতি সামাজিক অবিচার দেখিয়েছেন, তাদের গোপন প্রণয়ের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন, কিন্তু রমেশচন্দ্র-পূর্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ বঙ্কিমযুগের লেখকদের মতো সাহস করে বিধবার পুনর্বিবাহ (যেমন - 'শৈশব সহচরী', 'সমাজ') দিয়ে তাদের সুখী জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন নি।
(গ) দার্শনিক আত্মজিজ্ঞাসা বা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসায় পূর্ণ কোনো মহৎ মানুষের চিত্র তাঁর রচনায় অনুপস্থিত।
(ঘ) আবেগ ও মননের সমানুপাতিক প্রয়োগে ঔপন্যাসিকের জীবনদৃষ্টি যে সমগ্রতা লাভ করে শরৎচন্দ্রের মধ্যে তার দুঃখজনক অনুপস্থিতি চোখে পড়ে।
- আলোচক : সৌম্য মাইতি
- যোগাযোগ : ৬২৯০৩৭৭১৩৪
- S.L.S.T বাংলা অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে চাইলে ফোন করে যোগাযোগ করুন আমার ৬২৯০৩৭৭১৩৪ নম্বরে, অথবা আমার WhatssApp-তে ম্যাসেজ করুন ৮৭৬৮৮৩০২৩০ নম্বরে। কারণ আমার এখন নতুন ব্যাচে ভর্তি চলছে। এখানে উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর মতো সঠিক তথ্যসহকারে ১ নম্বরের পাশাপাশি ২ নম্বরের ডেসক্রিপটিভ প্রশ্নোত্তরও করানো হয়। ধন্যবাদ।
Post a Comment