দ্বাদশ শ্রেণির গুরুত্বপূর্ণ টেক্সট এবং জারিগান
★কবিতার নাম :- দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যাংশের অন্তর্ভুক্ত আন্তর্জাতিক কবিতা। আপনারা সবাই বুঝে নিন। কপিরাইটের জন্য আমি নামটা এখানে উল্লেখ করতে পারলাম না।
★কবি :- জার্মান কবি বের্টোল্ট ব্রেখ্ট (১৮৯৮-১৯৫৬)। তিনি কবি ছাড়াও নাট্যকার হিসেবে প্রখ্যাত হন।
★অনুবাদক :- ভারতীয় বাঙালি কবি শঙ্খ ঘোষ (১৯৩২-২০২১)। তাঁর পোশাকি নাম ছিল চিত্তপ্রিয় ঘোষ এবং ছদ্মনাম ছিল ''কুন্তক'' ও ''শুভময় রায়''।
★উৎস :- বের্টোল্ট ব্রেখ্টের "কোশ্চেন ফ্রম ওয়ার্কার হু রিডস" কবিতার ভাষান্তর। কপিরাইটের জন্য আমি এই নামটা ইংরেজিতে উল্লেখ করতে পারলাম না।
এই কবিতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ শর্ট প্রশ্নোত্তর
১) থিবস্ নগরীর দরজা ছিল --- সাত (৭)-টি)।
২) মহনীয় রোম ছিল --- জয়তরণে ঠাসা।
৩) "রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত?" --- কোন্ প্রসঙ্গে এর উল্লেখ আছে?
★উত্তর - সাত দরজাওয়ালা থিবস্ প্রসঙ্গে এর উল্লেখ আছে।
৪) দ্বিতীয় ফ্রেডারিক জিতেছিলেন --- সাত (৭) বছরের যুদ্ধ।
৫) "সেখানে কি সবাই প্রাসাদেই থাকত?" --- কোথায়?
★উত্তর - বাইজেনটিয়াম।
৬) চিনের প্রাচীর তৈরির কাজ কখন বা কোন সময়ে শেষ হয়েছিল?
★উত্তর - সন্ধ্যাবেলা শেষ হয়েছিল।
৭) "আটলান্টিস" হল --- উপকথার রাজ্য।
৮) আলেকজাণ্ডার ছিলেন --- ম্যাসিডনের রাজা।
৯) আলেকজান্ডার জয় করেছিলেন --- ভারত।
১০) গলদের নিপাত করেছিলেন --- জুলিয়াস সিজার।
১১) "কে বানিয়েছিল। ....?" --- কী?
★উত্তর - থিবস্ নগরী।
১২) "কে বানিয়েছিল সাত দরজাওয়ালা থিবস্?" --- থিবস্ কী?
★উত্তর - প্রাচীন নগরী।
১৩) "বইয়ে লেখে" --- কার নাম?
★উত্তর - রাজার নাম।
১৪) "ব্যাবিলন এতবার গুঁড়ো হল"। --- ব্যাবিলন কী?
★উত্তর - মেসোপটেমিয়ার একটি শহর বা প্রাচীন রাজ্য।
১৫) "সোনা-ঝকমকে লিমা যারা বানিয়েছিল।" --- লিমা কোথায় অবস্থিত?
★উত্তর - প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে।
১৬) "লিমা যারা বানিয়েছিল।" --- লিমার বৈশিষ্ট্য কী?
★উত্তর - সোনা-ঝকঝকে শহর।
১৭) "চিনের প্রাচীর যখন শেষ হল।" --- চিনের প্রাচীর হল --- উল্লেখযোগ্য প্রাচীন নিদর্শন।
১৮) "মহনীয় রোম" --- কী ছিল?
★উত্তর - একটি প্রাচীন নগরী।
১৯) "কাদের জয় করল সিজার?" --- সিজার কে ছিলেন?
★উত্তর - রোমের নেতা।
২০) "সেই রাতে চিৎকার উঠেছিল।" --- চিৎকার ওঠার কারণ কী?
★উত্তর - আটলান্টিস ধ্বংস হওয়া।
২১) "ভারত জয় করেছিল" --- কে?
★উত্তর - আলেকজান্ডার।
২২) "একলাই না কি?" --- এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
★উত্তর - ম্যাসিডনের রাজা আলেকজান্ডারের কথা বলা হয়েছে।
২৩) "গলদের নিপাত করেছিল সিজার।" --- 'গল্' কী?
★উত্তর - ফ্রান্সের প্রাচীন অধিবাসী।
২৪) "বিরাট আর্মাডা যখন ডুবল।" --- কোন্ আর্মাডা?
★উত্তর - স্প্যানিশ আর্মাডা (স্পেনের রণতরীর বহর)।
২৫) "বিরাট আর্মাডা যখন ডুবল....।" --- কোন্ যুদ্ধে আর্মাডা ডুবেছিল?
★উত্তর - অ্যাংলো-জার্মানি যুদ্ধে।
২৬) "বিরাট আর্মাডা যখন ডুবল....।" --- কত খ্রিস্টাব্দে আর্মাডা ডুবেছিল?
★উত্তর - ১৫৮৯ খ্রিস্টাব্দে।
২৭) "স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব" --- স্প্যানিশ আর্মাডা ডুবলে।
২৮) ".... বছরে একজন মহামানব।" --- কত বছরে?
★উত্তর - দশ-দশ বছরে।
২৯) ১৫৮৮ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধে স্পেনের রাজা ফিলিপ যুদ্ধজাহাজ সমৃদ্ধ আর্মাডা প্রেরণ করেন --- ১৩০টি।
৩০) ১৩০টি জাহাজের মধ্যে কোনোমতে জাহাজ ফেরত আসে --- ৬৭টি।
জারিগান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা
আশরাফ সিদ্দিকী তাঁর "লোকসাহিত্য" গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডে জারিগান সম্বন্ধে লিখেছেন --- "শোকবিহল মহরম মাসেই জারিগানের ব্যবস্থা হত --- এতে মানসিকভাবেও শ্রোতা-দর্শক-দল প্রস্তুত থাকত। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ অঞ্চলে উন্মুক্ত বৃক্ষ বা শামিয়ানার নীচে হওয়া জারিগানে সাধারণত দুইটি দল থাকত। একদল পরিশ্রান্ত হলে অন্যদল গাইত। প্রধান কবিয়ালের পায়ে নূপুর, হাতে দফ্, কখনও গালে হাত দিয়ে (বাজনা বন্ধ) গান করত --- কখনও মধ্যে বসা বয়াতির চারিদিকে চক্রাকারে ঘুরে বাজনা বাজাত দোহারগণ --- বয়াতি গানের মাধ্যমে নানা অঙ্গভঙ্গি করে কাহিনীকে এগিয়ে নিত।..... " শোকের মহরম মাসে এই জারিগান শুনে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের চোখ অশ্রুসজল হয়ে উঠত।
বীররস, হাস্যরস, শৃঙ্গার বা করুণরসের অপরূপ মিশেলে তৈরি এবং অপূর্ব উপস্থিত বুদ্ধি বলে স্বতঃস্ফূর্ত উৎসারিত এই গান লোকায়ত বাংলা এবং লোকমানের অত্যন্ত কাছের সামগ্রী, অসাধারণ জনপ্রিয়। জারিগানেও বন্দনা অংশ লক্ষ করা যায়। মহরম মাস ছাড়া অন্যসময়ে সোনাভান, হাতেমতাই, বেহুলা-লখিন্দরের কাহিনী নিয়ে জারিগানের আদলে গান তৈরি হতে দেখা যায়। নারীভূমিকায় কিশোরদের অংশগ্রহণে তা লোকরঞ্জক হয়ে উঠেছিল।
pan>
জারিনাচ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা
শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা মহরমপর্ব পালনকে ধর্মীয় অঙ্গ বলে মনে করেন মহরমের চাঁদ দেখার রাত থেকে জারিগানের সঙ্গে শুরু হয় জারিনাচ, চলে প্রায় দশদিন। সাধারণত এক-একটি দলে ১৫-২০ জন কিশোর ও তরুণ এই নাচে অংশ নেয়। দলের প্রধান যিনি, তিনি গান করেন, কিন্তু নাচে অংশগ্রহণ করেন না। গায়ককে অঞ্চলবিশেষে হাদি, ওস্তাদ, বয়াতি, জোগালি --- ইত্যাদি নামে বোঝানো হয়ে থাকে। গানে ও নাচে অংশগ্রহণকারীদের "পাইল", "দোহার" বলা হয়।
সাধারণত প্রতিদিনের ব্যবহারের লুঙ্গি, শার্ট বা গেঞ্জি, হাতে ও মাথায় লাল রুমাল জড়িয়ে জারিয়ালরা নেচে থাকে। কেউ কেউ পায়ে নূপুর বাঁধে। কোথাও বয়াতি চটি নামক চামড়ার তৈরি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে, দোহাররা হাততালি দেয়। মুর্শিদাবাদে "ঝরানি" বাদ্যও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
জারিনাচ বৃত্তাকার রেখায় হয়ে থাকে। মূল গায়েন প্রধানত কারবালার করুণরসের গাথা গায়, দোহারেরা দিশা বা গড়ান গেয়ে তাকে সাহায্য করে। শোকার্তভাব ফুটিয়ে তোলাই জারিগান বা জারিনাচের মূল লক্ষ্য। উৎসবের শেষ দিনে স্থানীয় কোনো দরগাহ বা নকল কারবালায় বিভিন্ন দলের সমাবেশে নাচ-গান অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
- বিশেষ দ্রষ্টব্য :- গুগলের কপিরাইটের আওতায় পড়ার জন্য এই আন্তর্জাতিক কবিতাটি এবং জারিগান সম্পর্কে আমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর এখানে দিতে পারলাম না। তাই আপনারা কেউ বারবার আমাকে জিজ্ঞাসা করবেন না যে স্যার এই প্রশ্নগুলো এখানে কেন দিলেন না?
- আলোচক : সৌম্য মাইতি
- যোগাযোগ : ৬২৯০৩৭৭১৩৪
Post a Comment