¤ গিরিশচন্দ্র ঘোষের নাটকের শ্রেণিবিভাগ ¤
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
নাট্যগুরু গিরিশচন্দ্র ঘোষের নাটকগুলিকে সমালোচকেরা বিভিন্ন ধরনের কয়েকটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন। যথা ---
(ক) গীতিনাট্য :-
গিরিশচন্দ্র ঘোষ প্রথম জীবনে কিছু গল্প, উপন্যাস, কাব্যগ্রন্থের নাট্যরূপ দেওয়ার পরে বেশ কয়েকটি গীতিনাট্য রচনা করেন। সেগুলি হল ---
১) "আগমনী" (২৯শে সেপ্টেম্বর, ১৮৭৭/১৪ই আশ্বিন, ১২৮৪)
- এটি গিরিশচন্দ্র ঘোষের প্রথম রচিত ও প্রকাশিত নাটক।
২) "অকালবোধন" (৩রা অক্টোবর, ১৮৭৭/১৮ই আশ্বিন, ১২৮৪)
- এটি গিরিশচন্দ্র ঘোষের দ্বিতীয় রচিত ও প্রকাশিত নাটক।
৩) "দোললীলা" (মার্চ, ১৮৭৮)
- এটি গিরিশচন্দ্র ঘোষের তৃতীয় রচিত ও প্রকাশিত নাটক।
৪) "মোহিনী প্রতিমা" (১৬ই এপ্রিল, ১৮৮১/৫ই বৈশাখ, ১২৮৮)
৫) "স্বপ্নের ফুল" (১লা ডিসেম্বর, ১৮৯৪)
৬) "নন্দদুলাল" (১৫ই অক্টোবর, ১৯০০)
৭) "অশ্রুধারা" (৭ই মে, ১৯০১)
৮) "অভিশাপ" (২৮শে অক্টোবর, ১৯০১)
(খ) ইতিহাসশ্রয়ী বা ঐতিহাসিক নাটক :-
গিরিশচন্দ্র ঘোষ পৌরাণিক নাটক রচনার পাশাপাশি ইতিহাসশ্রয়ী বা ঐতিহাসিক নাটক রচনা করেও কৃতিত্ব দেখান। তাঁর লেখা ইতিহাসশ্রয়ী বা ঐতিহাসিক নাটকগুলি হল ---
১) "আনন্দ রহো" (১৭ই আগস্ট, ১৮৮১)
২) "চণ্ড" (১লা ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৩)
৩) "কালাপাহাড়" (৩রা অক্টোবর, ১৮৯৬)
৪) "ভ্রান্তি" (২৭শে আগস্ট, ১৯০২)
৫) "সৎনাম" বা "ভারত গৌরব" (বৈষ্ণবী) (৫ই মে, ১৯০৪/২৩শে বৈশাখ, ১৩১১)
৬) "সিরাজদৌল্লা" (১০ই জানুয়ারি, ১৯০৬)
৭) "মীরকাসিম" (৭ই নভেম্বর, ১৯০৬)
৮) "ছত্রপতি শিবাজী" (৫ই সেপ্টেম্বর, ১৯০৭)
৯) "অশোক" (১৯১১)
(গ) পৌরাণিক নাটক :-
গিরিশচন্দ্র ঘোষ প্রায় সব ধরনের নাটক রচনা করলেও পৌরাণিক নাটক রচনায় তিনি সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি নিজেই বলেছেন, - হিন্দুস্থানের মর্ম বুঝে ধর্ম ও মর্মকে আশ্রয় করে নাটক লিখতে বা রচনা করতে গেলে ধর্মকে আশ্রয় করতে হবে। তাঁর লেখা পৌরাণিক নাটকগুলি হল ---
১) "রাবণবধ" (৫ই নভেম্বর, ১৮৮১)
২) "অভিমন্যুবধ" (২৬শে নভেম্বর, ১৮৮১/১২ই অগ্রহায়ণ, ১২৮৮)
৩) "সীতার বনবাস" (২০ই জানুয়ারি, ১৮৮২)
৪) "লক্ষ্মণ-বর্জন" (৫ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৮২/২২শে পৌষ, ১২৮৮)
৫) "সীতার বিবাহ" (১৮৮২)
৬) "রামের বনবাস" (২৬শে নভেম্বর, ১৮৮২)
৭) "সীতাহরণ" (২১শে আগস্ট, ১৮৮২)
৮) "পাণ্ডবের অজ্ঞাতবাস" (১৮৮৩)
৯) "বৃষকেতু" (১৮৮৪)
১০) "প্রহ্লাদ চরিত্র" (১৮৮৪)
১১) "কমলে কামিনী" (১৫ই অক্টোবর, ১৮৯১)
১২) "শ্রীবৎস চিন্তা" (১লা ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৩)
১৩) "জনা" (২৮শে ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৪)
১৪) "নন্দদুলাল" (১৫ই অক্টোবর, ১৯০০)
১৫) "পাণ্ডব-গৌরব" (২৫শে অক্টোবর, ১৯০০)
১৬) "অভিশাপ" (২৮শে অক্টোবর, ১৯০১)
(ঘ) যাত্রাধর্মী পৌরাণিক নাটক :-
১) "নল-দময়ন্তী" (৩০শে জুলাই, ১৮৮৭)
২) "দক্ষযজ্ঞ" (১৮৮৯)
৩) "বিষাদ" (২০ই সেপ্টেম্বর, ১৮৮৯)
৪) "ধ্রুবচরিত্র" (১লা মে, ১৮৯২)
৫) "প্রভাসযজ্ঞ" (১লা মে, ১৮৯২)
৬) "হরগৌরী" (৮ই মার্চ, ১৯০৫/২৪শে ফাল্গুন, ১৩১১)
৭) "তপোবল" (২৩শে ডিসেম্বর, ১৯১১)
(ঙ) প্রহসন :-
গিরিশচন্দ্র ঘোষ বিভিন্ন ধরনের নাটক রচনার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি প্রহসনও রচনা করেন। তাঁর লেখা প্রহসনধর্মী রচনাগুলি হল ---
১) "ভোটমঙ্গল" (১৮৮২)
২) "হীরার ফুল" (১৮৮৪)
৩) "বেল্লিক বাজার" (১৮৮৭)
৪) "সপ্তমীতে বিসর্জ্জন" (১৮৯৪)
৫) "বড়দিনের বখশিস" (১৯শে ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৪)
৬) "সভ্যতার পাণ্ডা" (২৪শে ডিসেম্বর, ১৮৯৪)
৭) "পাঁচ কনে" (৫ই জানুয়ারি, ১৮৯৬/২২শে পৌষ, ১৩০২)
৮) "য্যায়সা-কা-ত্যায়সা" (১৬ই জুলাই, ১৯০৭)
[★পঞ্চরঙ :- নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষের লেখা পাঁচটি প্রহসন বাংলা নাট্যসাহিত্যে "পঞ্চরঙ" নামে পরিচিত। সেগুলি হল ---
(ক) "বেল্লিক বাজার" (১৮৮৭)
(খ) "সপ্তমীতে বিসর্জ্জন" (১৮৯৪)
(গ) "বড়দিনের বখশিস" (১৯শে ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৪)
(ঘ) "সভ্যতার পাণ্ডা" (২৪শে ডিসেম্বর, ১৮৯৪)
(ঙ) "য্যায়সা-কা-ত্যায়সা" (১৬ই জুলাই, ১৯০৭)]
(চ) চরিত্র কেন্দ্রিক নাটক :-
১) "প্রহ্লাদ চরিত্র" (১৮৮৪)
২) "চৈতন্যলীলা" (১০ই আগস্ট, ১৮৮৬)
৩) "বুদ্ধদেবচরিত" (২২শে এপ্রিল, ১৮৮৭)
৪) "রূপ-সনাতন" (২৮শে জানুয়ারি, ১৮৮৮)
৫) "বিল্বমঙ্গল ঠাকুর" (২৫শে অক্টোবর, ১৮৮৮)
৬) "নিমাই সন্ন্যাস" (১লা মে, ১৮৯২)
(ছ) ভক্তিমূলক নাটক :-
তিনি এসময়কার হিন্দু পুনর্জাগরণের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের প্রতি ভক্তিবশতঃ কিছু ভক্তিমূলক নাটক রচনা করেন। সেগুলিকেও তাঁর পৌরাণিক নাটকের মধ্যে ধরা হয়। সেগুলি হল ---
১) "চৈতন্যলীলা" (১০ই আগস্ট, ১৮৮৬)
২) "রূপ-সনাতন" (২৮শে জানুয়ারি, ১৮৮৮)
৩) "বিল্বমঙ্গল ঠাকুর" (২৫শে অক্টোবর, ১৮৮৮)
৪) "নসীরাম" (১৫ই জুন, ১৮৯৬)
৫) "শঙ্করাচার্য্য" (২৫শে আগস্ট, ১৯১০)
(জ) সামাজিক নাটক :-
গিরিশচন্দ্র ঘোষ সব ধরনের নাটক রচনার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সামাজিক নাটকও রচনা করেন। সেগুলি হল ---
১) "প্রফুল্ল" (২২শে আগস্ট, ১৮৮৯)
২) "হারানিধি" (১৪ই জুন, ১৮৯০)
৩) "সপ্তমীতে বিসর্জ্জন (১৮৯৪)
৪) "পাঁচ কনে" (৫ই জানুয়ারি, ১৮৯৬/২২শে পৌষ, ১৩০২)
৫) "মায়াবসান" (৭ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৮)
৬) "আয়না" (১০ই মার্চ, ১৯০৩)
- এটি গিরিশচন্দ্র ঘোষের একটি নক্সাধর্মী বা নক্সাজাতীয় সামাজিক নাটক।
৭) "বলিদান" (৩রা জুন, ১৯০৫)
৮) "শাস্তি কি শান্তি?" (১৫ই ডিসেম্বর, ১৯০৮)
- আলোচক : সৌম্য মাইতি
- যোগাযোগ : ৬২৯০৩৭৭১৩৪
অনেক নতুন কিছু জানতে পারলাম। Thank you so much স্যার 🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
ReplyDeleteWelcome Apnake.
DeletePost a Comment