NEW :
Loading contents...

  শরৎচন্দ্রের গল্পগ্রন্থ এবং গল্প-সংকলন গ্রন্থ  

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটগল্পেও গার্হস্থ ও সমাজ জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবদ্দশায় (জীবিতকালে) মোট ৫টি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এছাড়া, তাঁর মরণোত্তর (মৃত্যুর পরে) কয়েকটি গল্প-সংকলন গ্রন্থ বা গল্প-সংগ্রহ প্রকাশিত হয়। তার মধ্যে আমরা এখানে তাঁর মরণোত্তর (মৃত্যুর পরে) প্রকাশিত দুই ২টি গল্প-সংকলন গ্রন্থ বা গল্প-সংগ্রহের নাম উল্লেখ করলাম। সেই গল্পগ্রন্থ এবং গল্প-সংকলন গ্রন্থগুলির তালিকা প্রকাশকাল অনুসারে ক্রমানুযায়ী সাজিয়ে তথ্যসহকারে নিম্নে দেওয়া হল ---

১) "বিন্দুর ছেলে ও অন্যান্য গল্প"/"বিন্দুর ছেলে" (৩রা জুলাই, ১৯১৪/শ্রাবণ, ১৩২১)

★প্রকাশনা সংস্থা :- "গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স", ২০১, কর্ণওয়ালিস স্ট্রীট, কলকাতা। 

★তথ্য :- এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১ম রচিত ও প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ।

★গল্পগ্রন্থে গল্পের সংখ্যা :- এই গল্পগ্রন্থে ৩টি গল্প রয়েছে।

★গল্পগ্রন্থের প্রথম গল্প :- "বিন্দুর ছেলে"।

★গল্পগ্রন্থের শেষ গল্প :- "পথনির্দেশ"।

★সূচিপত্র :- ''বিন্দুর ছেলে'', "রামের সুমতি'', ''পথনির্দেশ''।

★গল্পের নাম ও পত্রিকায় প্রকাশ :- 

(ক) "বিন্দুর ছেলে" -- এই গল্পটি ১৩২০ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ সংখ্যায় "যমুনা" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

(খ) "রামের সুমতি" -- এই গল্পটি ১৩১৯ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন-চৈত্র সংখ্যায় "যমুনা" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

(গ) "পথনির্দেশ" -- এই গল্পটি ১৩২০ বঙ্গাব্দের (১৯১৩ খ্রিস্টাব্দ) বৈশাখ সংখ্যায় "যমুনা" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

★পৃষ্ঠা সংখ্যা :- ২১১টি।

★অনুবাদ ও অনুবাদক :- ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি-জুন মাসে শ্রীঅশোক চট্টোপাধ্যায় এই গল্পগ্রন্থ বা পুস্তকের প্রথম গল্প ''বিন্দুর ছেলে''-র ইংরেজি অনুবাদ "Bindu's Son" (বিন্দু'স সন) নামে "Modern Review" (মডার্ন রিভিউ) পত্রিকায় প্রকাশ করেন।

★নাট্যরূপ ও প্রথম অভিনয় :- শ্রীদেবনারায়ণ গুপ্ত কর্তৃক এই গল্পগ্রন্থের প্রথম দু'টি গল্প যথাক্রমে "বিন্দুর ছেলে" ও "রামের সুমতি"-র নাট্যরূপও প্রকাশিত হয়েছে। "বিন্দুর ছেলে" নাটকের প্রথম অভিনয় (প্রযোজনা) হয় -- ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ২০ই  ডিসেম্বর "শ্রীরঙ্গম" থিয়েটারে এবং ''রামের সুমতি" নাটকের প্রথম অভিনয় (প্রযোজনা) হয় -- ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ২২শে জুন "রঙমহল" থিয়েটারে।

★চলচ্চিত্রায়ণ/চলচ্চিত্র নির্মাণ :- এই গল্পগ্রন্থের অন্তর্গত বা অন্তর্ভুক্ত প্রথম গল্প "বিন্দুর ছেলে" অবলম্বনে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে "ছোটি বহু" (Choti Bahu) নামের একটি বিখ্যাত হিন্দি ভাষার সিনেমা বা চলচ্চিত্র নির্মিত হয়।

২) "মেজদিদি ও অন্যান্য গল্প"/"মেজদিদি" (১২ই ডিসেম্বর, ১৯১৫/অগ্রহায়ণ, ১৩৩২)

★প্রকাশনা সংস্থা :- "গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স", ২০১, কর্ণওয়ালিস স্ট্রীট, কলকাতা।

★তথ্য :- এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ২য় প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ।

★গল্পগ্রন্থে গল্পের সংখ্যা :- এই গল্পগ্রন্থে ৩টি গল্প রয়েছে।

★গল্পগ্রন্থের প্রথম গল্প :- "মেজদিদি"।

★গল্পগ্রন্থের শেষ গল্প :- "আঁধারে আলো"।

★সূচিপত্র :- ''মেজদিদি'', ''দৰ্পচূর্ণ'', ''আঁধারে আলাে''।

★গল্পের নাম ও পত্রিকায় প্রকাশ :-

(ক) "মেজদিদি" -- এই গল্পটি ১৩২১ বঙ্গাব্দের (১৯১৪-১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ) ভাদ্র সংখ্যায় "ভারতবর্ষ" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

(খ) "দর্পচূর্ণ" -- এই গল্পটি ১৩২১ বঙ্গাব্দের (১৯১৪-১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ) কার্তিক সংখ্যায় "ভারতবর্ষ" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

(গ) "আঁধারে আলো" -- এই গল্পটি ১৩২১ বঙ্গাব্দের (১৯১৪-১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ) মাঘ সংখ্যায় "ভারতবর্ষ" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। [তথ্য : পরবর্তীকালে "দেওঘরের স্মৃতি" প্রবন্ধটি এই গল্পগ্রন্থ বা পুস্তকে স্থান পায় (যুক্ত হয়)। শেষোক্ত রচনা (প্রবন্ধ)-টি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ) আষাঢ় সংখ্যায় "ভারতবর্ষ" পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।]

★পৃষ্ঠা সংখ্যা :- ১৭১টি।

★চলচ্চিত্রায়ণ/চলচ্চিত্র নির্মাণ :- এই গল্পগ্রন্থের অন্তর্গত বা অন্তর্ভুক্ত প্রথম গল্প "মেজদিদি" অবলম্বনে ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে সুখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋষিকেষ মুখোপাধ্যায় হিন্দি ভাষার সিনেমা বা চলচ্চিত্র "মাঝলি দিদি" (Majhli Didi) নির্মাণ করেন। এই সিনেমাটিতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন স্বনামধন্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্র ও নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন স্বনামধন্য অভিনেত্রী মীনা কুমারী। সিনেমাটির প্রযোজনা করেছেন কোচি সরকার ও গোপাল মুখোপাধ্যায় এবং চিত্রনাট্য প্রযোজনা করেছেন সুখ্যাত চিত্রনাট্যকার (সাহিত্যিক) নবেন্দু ঘোষ। গীত রচনা করেছেন হিন্দি সাহিত্যের বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক গোপালদাস নীরজ এবং গানে কণ্ঠ দিয়েছেন স্বনামধন্য গায়ক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। এছাড়া, এই গল্পগ্রন্থের অন্তর্গত বা অন্তর্ভুক্ত দ্বিতীয় গল্প "দর্পচূর্ণ" ও তৃতীয় গল্প "আঁধারে আলো" -- তাঁর এই দু'টি গল্পও চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে। অর্থাৎ লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের "মেজদিদি ও অন্যান্য গল্প"/"মেজদিদি" (১২ই ডিসেম্বর, ১৯১৫/অগ্রহায়ণ, ১৩৩২) গল্পগ্রন্থের সব গল্পগুলিই (৩টি গল্প) চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে।

৩) "কাশীনাথ" (১লা সেপ্টেম্বর, ১৯১৭/ভাদ্র, ১৩২৪)

★প্রকাশনা সংস্থা :- "গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স", ২০১, কর্ণওয়ালিস স্ট্রীট, কলকাতা।

★তথ্য :- এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ৩য় প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ।

★গল্পগ্রন্থে গল্পের সংখ্যা :- এই গল্পগ্রন্থে সাত ৭টি গল্প রয়েছে।

★গল্পগ্রন্থের প্রথম গল্প :- "কাশীনাথ"।

★গল্পগ্রন্থের শেষ গল্প :- "হরিচরণ"।

★সূচিপত্র :- "কাশীনাথ", "আলো ও ছায়া", "মন্দির", "বোঝা", "অনুপমার প্রেম", "বাল্যস্মৃতি", "হরিচরণ"।

★গল্পের নাম ও পত্রিকায় প্রকাশ :- 

(ক) "কাশীনাথ" -- এই গল্পটি ১৩১৯ বঙ্গাব্দের (১৯১৩ খ্রিস্টাব্দ) ফাল্গুন-চৈত্র সংখ্যায় "সাহিত্য" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

[পূর্ব নাম :- এই গল্পের পূর্ব নাম হল --- "বামুন ঠাকুর"।]

(খ) ''আলাে ও ছায়া" -- এই গল্পটি ১৩২০ বঙ্গাব্দের (১৯১৩ খ্রিস্টাব্দ) আষাঢ় ও ভাদ্র সংখ্যায় "যমুনা" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

(গ) "মন্দির" -- এই গল্পটি ১৩০৯ বঙ্গাব্দে (১৯০৩ খ্রিস্টাব্দ) একটি সাহিত্য স্মরণিকা "কুন্তলীন পুস্তিকামালা"-য় প্রকাশ পায়। গল্পটি ১৩০৯ বঙ্গাব্দে (১৯০৩ খ্রিস্টাব্দ) "কুন্তলীন পুরস্কার"-প্রাপ্ত। গল্পটি তাঁর সম্পর্কীয় মাতুল (মামা) ও বাল্যবন্ধু শ্রীসুরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে প্রকাশিত। "বসুমতী" পত্রিকার সম্পাদক দেড়শ'টি গল্পের মধ্যে "মন্দির" গল্পটিকে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করেন। [গল্পের বিষয়বস্তু : অমরনাথ অপর্ণাকে বিবাহ করেও দাম্পত্য জীবনে শান্তিলাভ করতে পারেনি। অপর্ণা পিতৃগৃহে স্থাপিত রাধাকৃষ্ণের চরণে নিজেকে উৎসর্গীকৃত করেছেন অনেক আগে। উল্লেখযোগ্য চরিত্র : 'অমরনাথ', 'অপর্ণা' প্রমুখ।]

(ঘ) "বােঝা" -- এই গল্পটি ১৩১৯ বঙ্গাব্দের (১৯১২ খ্রিস্টাব্দ) কার্তিক-পৌষ সংখ্যায় "যমুনা" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

(ঙ) ''অনুপমার প্রেম'' -- এই গল্পটি ১৩২০ বঙ্গাব্দের (১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ) চৈত্র সংখ্যায় "সাহিত্য" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

(চ) ''বাল্যস্মৃতি'' -- এই গল্পটি ১৩১৯ বঙ্গাব্দের (১৯১২) মাঘ সংখ্যায় "সাহিত্য" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। [তথ্য : লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অপর একটি রচনা (গল্প) ''বাল্য স্মৃতি'' নামে ১৩৪৫ বঙ্গাব্দের (১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দ) আশ্বিন সংখ্যায় "ছােটদের মাধুকরী" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।]

(ছ) "হরিচরণ" -- এই গল্পটি ১৩২১ বঙ্গাব্দের (১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ) আষাঢ় সংখ্যায় "সাহিত্য" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

★পৃষ্ঠা সংখ্যা :- ১৯২টি।

★নাট্যরূপ :- এই গল্পগ্রন্থ বা পুস্তকের অন্তর্গত প্রথম গল্প "কাশীনাথ" ১৩৫৪ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে এবং "অনুপমার প্রেম" গল্পটি ১৩৫২ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে শ্রীদেবনারায়ণ গুপ্ত কর্তৃক নাট্যাকারে রূপান্তরিত হয়ে গ্রন্থাকারে বা পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়।

৪) "স্বামী" (১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৯১৮/ফাল্গুন, ১৩২৪)

★প্রকাশনা সংস্থা :- "গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স", ২০১, কর্ণওয়ালিস স্ট্রীট, কলকাতা।

★তথ্য :- এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ৪র্থ প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ।

★গল্পগ্রন্থে গল্পের সংখ্যা :- এই গল্পগ্রন্থে ২টি গল্প রয়েছে।

★গল্পগ্রন্থের প্রথম গল্প :- "স্বামী"।

★গল্পগ্রন্থের শেষ গল্প :- "একাদশ বৈরাগী"।

★সূচিপত্র :- "স্বামী", "একাদশ বৈরাগী"।

★গল্পের নাম ও পত্রিকায় প্রকাশ :- 

(ক) "স্বামী" -- এই গল্পটি ১৩২৪ বঙ্গাব্দের (১৯১৭ খ্রিস্টাব্দ) শ্রাবণ-ভাদ্র সংখ্যায় "নারায়ণ" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

(খ) "একাদশ বৈরাগী" -- এই গল্পটি ১৩২৪ বঙ্গাব্দের (১৯১৭ খ্রিস্টাব্দ) কার্তিক সংখ্যায় "ভারতবর্ষ" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

★পৃষ্ঠা সংখ্যা :- ৯১টি।

★চলচ্চিত্রায়ণ/চলচ্চিত্র নির্মাণ :- এই গল্পগ্রন্থের অন্তর্গত বা অন্তর্ভুক্ত প্রথম গল্প "স্বামী" অবলম্বনে ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র বা সিনেমা "স্বামী"-র জন্য তিনি "ফিল্মফেয়ার সেরা লেখকের পুরস্কার" পান।

৫) "ছবি" (১৬ই জানুয়ারি, ১৯২০/মাঘ, ১৩২৬)

★প্রকাশনা সংস্থা :- "গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স", ২০১, কর্ণওয়ালিস স্ট্রীট, কলকাতা।

★তথ্য :- এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ৫ম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ।

★গল্পগ্রন্থে গল্পের সংখ্যা :- এই গল্পগ্রন্থে ৩টি গল্প রয়েছে।

★গল্পগ্রন্থের প্রথম গল্প :- "ছবি"।

★গল্পগ্রন্থের শেষ গল্প :- "মামলার ফল"।

★সূচিপত্র :- "ছবি", "বিলাসী", "মামলার ফল"।

★গল্পের নাম ও পত্রিকায় প্রকাশ :-

(ক) "ছবি"-- এই গল্পটি ১৩১৬ বঙ্গাব্দে (১৯০৯ খ্রিস্টাব্দ) সাহিত্যিক ও সমালোচক শ্রীসুরেশচন্দ্র সমাজপতি সম্পাদিত পূজা-বার্ষিকী (একটি শারদ প্রকাশনা) পত্রিকা "আগমনী"-তে প্রথম প্রকাশিত হয়।

(খ) "বিলাসী" -- এই গল্পটি ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ খ্রিস্টাব্দ) বৈশাখ সংখ্যায় "ভারতী" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।[তথ্য : লেখকের নিজ চরিত্র পাওয়া যায় এই গল্পগ্রন্থের দ্বিতীয় গল্প "বিলাসী"-র 'ন্যাড়া' চরিত্রে।]

(গ) "মামলার ফল" -- এই গল্পটি ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ খ্রিস্টাব্দ) আশ্বিন সংখ্যায় ঠাকুরবাড়ির জামাতা (সাহিত্যিক) শ্রীনগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত পূজা-বার্ষিকী (একটি শারদ প্রকাশনা) পত্রিকা "পার্বণী"-তে প্রথম প্রকাশিত হয়।

★পৃষ্ঠা সংখ্যা :- ১০৪টি।

৬) "হরিলক্ষ্মী" (১৩ই মার্চ, ১৯২৬/চৈত্র, ১৩৩২)

★প্রকাশনা সংস্থা :- "গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স", ২০১, কর্ণওয়ালিস স্ট্রীট, কলকাতা।

★তথ্য :- এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ৬ষ্ঠ প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ।

★গল্পগ্রন্থে গল্পের  সংখ্যা :- এই গল্পগ্রন্থে ৩টি গল্প রয়েছে।

★গল্পগ্রন্থের প্রথম গল্প :- "হরিলক্ষ্মী"।

★গল্পগ্রন্থের শেষ গল্প :- "অভাগীর স্বর্গ"।

★সূচিপত্র :- "হরিলক্ষ্মী", "মহেশ", "অভাগীর স্বর্গ"।

★গল্পের নাম ও পত্রিকায় প্রকাশ :- 

(ক) ''হরিলক্ষ্মী'' -- এই গল্পটি ১৩৩২ বঙ্গাব্দের (১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ) ''বসুমতি'' পত্রিকার শারদ (শারদীয়া) সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

(খ) "মহেশ" -- এই গল্পটি ১৩২৯ বঙ্গাব্দের (১৯২২ খ্রিস্টাব্দ) আশ্বিন সংখ্যায় "বঙ্গবাণী" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।[তথ্য : এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্প। উল্লেখযোগ্য চরিত্র :  'শিবুবাবু' (কাশীপুর গ্রামের জমিদার"; তবু দাপটে তাঁর প্রজারা টুঁ শব্দটি করিতে পারে না - এমনই প্রতাপ), 'তর্করত্ন' (কাশীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও পুরোহিতমশাই বা ব্রাহ্মণ), 'গফুর মিঞা' (কাশীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আমিনার বাবা), 'আমিনা' (কাশীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও গফুর মিঞার মেয়ে), 'মহেশ' (গফুর মিঞা ও আমিনার লালিত-পালিত একটি ষাঁড়; গল্পের শেষে সে অসুখে মারা গিয়েছিল) প্রমুখ।গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র : 'মহেশ'।]

(গ) "অভাগীর স্বর্গ" -- এই গল্পটি ১৩২৯ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ) মাঘ সংখ্যায় "বঙ্গবাণী" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

★পৃষ্ঠা সংখ্যা :- ৯২টি।

৭) "অনুরাধা, সতী ও পরেশ" (১৮ই মার্চ, ১৯৩৪/ফাল্গুন, ১৩৪০)

★প্রকাশনা সংস্থা :- "গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স", ২০১, কর্ণওয়ালিস স্ট্রীট, কলকাতা।

★তথ্য :- এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ৭ম গল্পগ্রন্থ। সেইসঙ্গে এটি তাঁর জীবদ্দশায় (জীবিতকালে) প্রকাশিত শেষ গল্পগ্রন্থ।

★গল্পগ্রন্থে গল্পের সংখ্যা :- এই গল্পগ্রন্থে ৩টি গল্প রয়েছে।

★গল্পগ্রন্থের প্রথম গল্প :- "অনুরাধা"।

★গল্পগ্রন্থের শেষ গল্প :- "পরেশ"।

★সূচিপত্র :- "অনুরাধা", "সতী", "পরেশ"।

★গল্পের নাম ও পত্রিকায় প্রকাশ :-

(ক) "অনুরাধা" -- এই গল্পটি ১৩৪০ বঙ্গাব্দের (১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দ) চৈত্র সংখ্যায় "ভারতবর্ষ" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।[তথ্য : এই গল্পগ্রন্থের প্রথম গল্প "অনুরাধা" পূর্ণাঙ্গ গল্প হিসেবে লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষ গল্প।]

(খ) "সতী" -- এই গল্পটি ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের (১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ) আষাঢ় সংখ্যায় "বঙ্গবাণী" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়[গল্পের চিত্রণ : সতী মায়ের সতী মেয়ে নির্মলার কাহিনী এখানে বিবৃত হয়েছে। স্বামীর প্রাণ রক্ষা করতে সে মন্দিরে ধর্না দেয়। গল্পের নায়িকা বা কেন্দ্রীয় চরিত্র : 'নির্মলা'।]

(গ) "পরেশ" -- এই গল্পটি ১৩৩২ বঙ্গাব্দের (১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ) ভাদ্র সংখ্যায় সাহিত্যিক শ্রীনলিনীরঞ্জন পণ্ডিত সম্পাদিত পূজা-বার্ষিকী (একটি শারদ প্রকাশনা) পত্রিকা "শরতের ফুল"-তে প্রথম প্রকাশিত হয়। [তথ্য : পরেশের কৃতঘ্নতা ও অনুশোচনা খেমটার আসরে গুরু চরণের উপস্থিত এই গল্পে নাটকীয়তার সৃষ্টি করেছে। উল্লেখযোগ্য চরিত্র : 'পরেশ', 'গুরু চরণ' প্রমুখ। গল্পের নায়ক বা কেন্দ্রীয় চরিত্র : 'পরেশ'।]

★পৃষ্ঠা সংখ্যা :- ১২৩টি।

৮) "ছেলেবেলাকার গল্প" (এপ্রিল, ১৯৩৮/বৈশাখ, ১৩৪৫)

★প্রকাশনা সংস্থা :- "এম. সি. সরকার এণ্ড সন্স", কলকাতা।

★তথ্য :- এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মরণোত্তর (১৬ই জানুয়ারি, ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুর ৩ মাস পরে) প্রকাশিত প্রথম গল্প-সংকলন গ্রন্থ বা গল্প-সংগ্রহ।

★গল্প-সংকলন গ্রন্থে গল্পের সংখ্যা :- এই গল্প-সংকলন গ্রন্থ বা গল্প-সংগ্রহে (ইলাস্ট্রেশনসহ) ৭টি গল্প সংকলিত হয়েছে।

★গল্প-সংকলন গ্রন্থের প্রথম গল্প :- "লালু"।

★গল্প-সংকলন গ্রন্থের শেষ গল্প :- "দেওঘরের স্মৃতি"।

★সূচিপত্র :- "লালু", "ছেলেধরা", "কলকাতার নতুন-দা", "লালু", "বছর পঞ্চাশ পূর্বের একটি দিনের কাহিনী", "লালু", "দেওঘরের স্মৃতি"।

★গল্পের নাম ও পত্রিকায় প্রকাশ :-

(ক) "লালু ১" -- এই গল্পটি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ) চৈত্র সংখ্যায় "মৌচাক" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। [উল্লেখযোগ্য চরিত্র :  'লালু', 'লালুর বাবা' (উকিল), 'নন্দরানী' (লালুর মা), 'স্মৃতিরত্ন' (ঠাকুরমশাই; নন্দরানীর গুরুদেব) প্রমুখ। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র : 'লালু'।]

(খ) "ছেলেধরা" -- এই গল্পটি ১৩৪২ বঙ্গাব্দে (১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দ) সাহিত্যিক শ্রীব্রজমোহন দাস সম্পাদিত পূজা-বার্ষিকী (একটি শারদ প্রকাশনা) পত্রিকা "ছোটদের আহরিকা"-তে প্রথম প্রকাশিত হয়।

(গ) "কোলকাতার নতুন-দা" -- এই গল্পটি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দে (১৯৩৭-১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দ) কবি ও সাহিত্যিক শ্রীপ্রেমেন্দ্র মিত্র সম্পাদিত বার্ষিকী (একটি বার্ষিক প্রকাশন) পত্রিকা "গল্পের মণিমেলা"-তে প্রথম প্রকাশিত হয়। [তথ্য : এই গল্প-সংকলন গ্রন্থ বা গল্প-সংগ্রহের অন্তর্গত বা অন্তর্ভুক্ত তৃতীয় গল্প "কলকাতার নতুন-দা" লেখক শরৎচন্দ্র  চট্টোপাধ্যায়ের "শ্রীকান্ত (প্রথম পর্ব)" (১২ই ফেব্রুয়ারি, ১৯১৭/মাঘ, ১৩২৩) আত্মজীবনীমূলক উপন্যাসের ৭ম অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।]

(ঘ) "লালু ২" -- এই গল্পটি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দে (১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ) কবি নরেন্দ্র দেব ও তাঁর স্ত্রী বা সহধর্মিণী (কবি) রাধারাণী দেবী সম্পাদিত পূজা-বার্ষিকী (একটি শারদ প্রকাশনা) পত্রিকা "সোনার কাঠি"-তে প্রথম প্রকাশিত হয়। [উল্লেখযোগ্য চরিত্র :  'লালু', 'চাটুজ্জে মশায়' বা 'মনোহর চাটুজ্জে', 'পুরুত' প্রমুখ। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র : 'লালু'।]

(ঙ) "বছর পঞ্চাশ পূর্বের একটি দিনের কাহিনী" -- এই গল্পটি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ) আশ্বিন-কার্তিক সংখ্যায় "পাঠশালা" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

(চ) "লালু ৩" --- এই গল্পটির পত্রিকায় প্রকাশ অজ্ঞাত।  [উল্লেখযোগ্য চরিত্র :  'লালু', 'গোপালখুড়ো' (তার জীবনের ব্রত ছিল মড়া-পোড়ানো), 'বিষ্টু ভট্‌চায' (লালুদের ছেলেবেলার বাংলা শিক্ষক বা পণ্ডিতমশাই বা গুরু; তিনি ছিলেন গরিব, পণ্ডিত ও চিররুগ্ন এবং চিরদিন স্ত্রীর প্রতি একান্ত নির্ভরশীল), 'নরু', 'নির্মল', 'মণি' প্রমুখ। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র : 'লালু'।]

(ছ) "দেওঘরের স্মৃতি" --- এই গল্পটি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ) আষাঢ় সংখ্যায় "ভারতবর্ষ" পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

★পৃষ্ঠা সংখ্যা :- ১২১টি।

৯) "শরৎচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ গল্প" (১৯৫২)

★প্রকাশনা সংস্থা :- "ইন্ডিয়ান অ্যাসােসিয়েটেড পাবলিশিং কোম্পানি প্রাইভেট লিঃ", কলকাতা।

★তথ্য :- এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মরণোত্তর (১৬ই জানুয়ারি, ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুর ১৪ বছর পরে) প্রকাশিত গল্প-সংকলন গ্রন্থ বা গল্প সংগ্রহ।

★গল্প-সংকলন গ্রন্থে গল্পের  সংখ্যা :- এই গল্প-সংকলন গ্রন্থে ১০টি গল্প সংকলিত হয়েছে।


  • আলোচক : সৌম্য মাইতি
  • যোগাযোগ : ৬২৯০৩৭৭১৩৪

This is a premium content, you can continue reading this content in our Android App. Click the button below to continue. alert-info

1 Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post