¤ বুদ্ধদেব বসুর গল্পগ্রন্থ এবং প্রবন্ধগ্রন্থ ¤
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
¤ গল্পগ্রন্থ এবং গল্প-সংকলন গ্রন্থ :-
কথাসাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসুর বড়দের জন্য প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ এবং গল্প-সংকলন গ্রন্থ [শিশু-কিশোরদের জন্য প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ এবং গল্প-সংকলন গ্রন্থ ধরে]-এর সংখ্যা ৪৪টি। তাঁর বড়দের জন্য রচিত গল্পগ্রন্থ এবং গল্প-সংকলন গ্রন্থগুলির তালিকা প্রকাশকাল অনুসারে ক্রমানুযায়ী সাজিয়ে তথ্যসহকারে নিম্নে দেওয়া হল ---
১) ''অভিনয়, অভিনয় নয়' (১৯৩০)
★তথ্য :- এটি বুদ্ধদেব বসুর প্রথম রচিত ও প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ। এই গল্পগ্রন্থের প্রকাশকালে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। অধ্যাপক ও সাহিত্য-সমালোচক জগদীশ ভট্টাচার্য এই গ্রন্থটিকে ছোটগল্প-সংকলন গ্রন্থ বলেছেন।
★প্রথম গল্প ও গল্প সম্পর্কিত তথ্য :- "প্রথম ও শেষ"। দুই বান্ধবীর পত্র বিনিময়ের ফলে গল্পে এসেছে অপ্রত্যাশিতের অভিঘাত জনিত চমক। এই গল্পে প্রেমের অভিনয় দাম্পত্য জীবনকে ও মিথ্যা করে তুলেছে। গল্পের নায়িকা বা কেন্দ্রীয় চরিত্র বিনােদিনী পুতুলের অভিনয়কেই বিশ্বাস করেছে।
★গল্পগ্রন্থের একই নামের গল্প ও পত্রিকায় প্রকাশ :- "অভিনয়, অভিনয় নয়"। এই গল্পটি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে "কল্লোল" পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
★উল্লেখযোগ্য গল্প ও গল্প সম্পর্কিত তথ্য :- "প্রথম ও শেষ", "অভিনয়", "অভিনয়, অভিনয় নয়" ইত্যাদি। বুদ্ধদেব বসুর "অভিনয়" গল্পটি তাঁর ''বুদ্ধদেব বসুর শ্রেষ্ঠ গল্প'' (৭ই ডিসেম্বর, ১৯৫৩/১৩৫৯) নামক গল্প-সংকলন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
★উৎসর্গ :- এই গল্পগ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেন --- শ্রীযুক্ত ভৃগু কুমার গুহ এবং সাহিত্যিক ও সম্পাদক শ্রীযুক্ত সুধাংশু দাশগুপ্ত মহাশয়কে।
২) ''রেখাচিত্র'' (১৯৩১)
★তথ্য :- এটি বুদ্ধদেব বসুর (বড়দের জন্য রচিত) দ্বিতীয় রচিত ও প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ। এই গল্পগ্রন্থের প্রকাশকালে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৩ বছর।
★একটি গুরুত্বপূর্ণ গল্প ও গল্প সম্পর্কিত তথ্য :- "পুরাণের পুনর্জন্ম"। এই গল্পে বুদ্ধদেব বসু পুরাণের চরিত্রের নবজন্ম ঘটিয়েছেন।
★গল্পগ্রন্থের একই নামের গল্প ও পত্রিকায় প্রকাশ :- "রেখাচিত্র"। এই গল্পটি ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে "কল্লোল" পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বুদ্ধদেব বসুর "রেখাচিত্র" গল্পটি তাঁর ''বুদ্ধদেব বসুর শ্রেষ্ঠ গল্প'' (৭ই ডিসেম্বর, ১৯৫৩/১৩৫৯) নামক গল্প-সংকলন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
★উল্লেখযোগ্য গল্প :- "পুরাণের পুনর্জন্ম", "রেখাচিত্র", "ছায়াচিত্র", ''জবর'', "আত্মহত্যা'', ''গৃহ'', ''মেজাজ'', ''রাত বারােটার পরে" ইত্যাদি। এই গল্পগুলি যেন সমকালের ছায়াচিত্র।
★উৎসর্গ :- এই গল্পগ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেন --- সাহিত্যিক ও সমালোচক শ্রীযুক্ত অমলেন্দু বসু মহাশয়কে।
৩) ''এরা আর ওরা এবং আরও অনেকে'' (১৯৩২)
★তথ্য :- এটি বুদ্ধদেব বসুর (বড়দের জন্য রচিত) তৃতীয় রচিত ও প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ। এই গল্পগ্রন্থের প্রকাশকালে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৪ বছর। এই গল্পগ্রন্থের সবগুলি গল্পই রােমান্টিক।
★উল্লেখযোগ্য গল্প ও গল্প সম্পর্কিত তথ্য :- "বজ্রধর ও শবরী রায়'', ''অতনু মিত্র", "সুনীল আর লুসি ললিতা'', ''নিরঞ্জন রায় ও উমা'', "তুমি কেমন আছো", "প্রেম পত্র", "এমিলিয়ার প্রেম" (পূর্ব নাম : "ওথেলো") ইত্যাদি। এই গল্পগ্রন্থের সবগুলি গল্পই রােমান্টিক। এখানে উল্লিখিত প্রথম চারটি গল্পে বিচিত্র প্রেমের প্রকাশ লক্ষ করা যায়। আর শেষ তিনটি গল্পে আছে প্রেম ও জীবনের নষ্টালজিয়ার আচ্ছন্নতা। এছাড়া, "তুমি কেমন আছাে" গল্পে কাব্যিক পটভূমিকায় প্রেম ভাবনা ও রােমান্টিকতা গুরুত্ব পেয়েছে।
★গল্পগ্রন্থের শ্রেষ্ঠ গল্প ও গল্প সম্পর্কিত তথ্য :- "এমিলিয়ার প্রেম" (পূর্বনাম : "ওথেলো")। এই গল্পটি বুদ্ধদেব বসুর শুধুমাত্র এই গল্পগ্রন্থের শ্রেষ্ঠ গল্প নয়, এটি তাঁর সব গল্পগুলির মধ্যে একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্প। বুদ্ধদেব বসুর "এমিলিয়ার প্রেম" (পূর্বনাম : "ওথেলো") গল্পটি তাঁর ''বুদ্ধদেব বসুর শ্রেষ্ঠ গল্প'' (৭ই ডিসেম্বর, ১৯৫৩/১৩৫৯) নামক গল্প-সংকলন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। ভালবাসা আর কামনা গল্পের কাহিনীকে নিয়ে গেছে ভিন্ন এক জগতে। ভাস্কর (শিল্পী), এমিলিয়া (সুন্দরী), আর প্রদোষ চরিত্রকে কেন্দ্র করে এই গল্পের কাহিনী গতি পেয়েছে। প্রদোষকে দেখে ভাস্করের ঈর্ষা হলেও শেষ পর্যন্ত গল্পের নায়িকা বা কেন্দ্রীয় চরিত্র সুন্দরী এমিলিয়াকে শিল্পী ভাস্কর নিজের কাছেই ফিরে পেয়েছে ---
''আর ভয় নেই। এখন সে চিরকাল আমার।"
★অশ্লীলতার দায়ে বাজেয়াপ্ত :- বুদ্ধদেব বসুর এই রোমান্টিক গল্পগ্রন্থটি অশ্লীলতার দায়ে সে সময় বাজেয়াপ্ত হয়।
- পরিমার্জিত দ্বিতীয় (২য়) সংস্করণ :- অজ্ঞাত।
★উল্লেখযোগ্য একটি গল্প :- ''অতনু মিত্র, সাবিত্রী বােস - আর বুলু''। বুদ্ধদেব বসুর ''এরা আর ওরা এবং আরও অনেকে'' (১৯৩২) গল্পগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে এই গল্পটির কিছু অংশ থণ্ডুত আকারে মুদ্রিত আছে। বুদ্ধদেব বসুর "অতনু মিত্র, সাবিত্রী বোস - আর বুলু" গল্পটি তাঁর ''বুদ্ধদেব বসুর শ্রেষ্ঠ গল্প'' (৭ই ডিসেম্বর, ১৯৫৩/১৩৫৯) নামক গল্প-সংকলন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
৪) ''অদৃশ্য শত্রু'' (১৯৩৩)
৫) ''খাতার শেষ পাতা'' (১৯৪৩)
৬) ''হাওয়া বদল'' (১৯৪৩)
৭) ''একটি সকাল ও একটি সন্ধ্যা'' (১৯৪৫)
৮) ''গল্প-সংকলন'' (১৯৪৫)
৯) ''একটি কি দুটি পাখি'' (১৯৪৬)
১০) ''বুদ্ধদেব বসুর শ্রেষ্ঠ গল্প'' (৭ই ডিসেম্বর, ১৯৫৩/১৩৫৯)
★প্রকাশনা সংস্থা :- "বেঙ্গল পাবলিশার্স", ১৪ বঙ্কিম চাটুজ্জে স্ট্রীট, কলকাতা - ৭০০০১২।
★সম্পাদনা (সম্পাদক) :- অধ্যাপক শ্রীজগদীশ ভট্টাচার্য।
★উৎসর্গ :- এই গল্প-সংকলন গ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেন --- লেখক শ্রীযুক্ত পরিমল রায় মহাশয়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে।
- পরিমার্জিত প্রথম (১ম) সংস্করণ :- জ্যৈষ্ঠ, ১৩৫৯ বঙ্গাব্দ।
★প্রকাশনা সংস্থা :- "বেঙ্গল পাবলিশার্স", ১৪ বঙ্কিম চাটুজ্জে স্ট্রীট, কলকাতা - ৭০০০১২।
★প্রকাশক :- শ্রীশচীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
★মুদ্রণ সংস্থা :- "ভারত ফোটোটাইপ স্টুডিও", ৭২/১, কলেজ স্ট্রীট, কলকাতা - ৭০০০১২।
★মুদ্রাকর :- শ্রীঅজিতমোহন গুপ্ত।
★প্রচ্ছদপট শিল্পী :- শ্রীমাংশু বন্দ্যোপাধ্যায়।
★ব্লক ও প্রচ্ছদপট মুদ্রণ :- "ভারত ফোটোটাইপ স্টুডিও", ৭২/১, কলেজ স্ট্রীট, কলকাতা - ৭০০০১২।
★বাঁধাই :- "বেঙ্গল বাইণ্ডার্স", কলকাতা।
★মূল্য বা দাম :- পাঁচ টাকা।
- পরিমার্জিত তৃতীয় (৩য়) সংস্করণ :- অজ্ঞাত।
★তৃতীয় সংস্করণের গল্পগুলির রচনাকাল :- এই সংস্করণের অন্তর্ভুক্ত গল্পগুলি ১৯২৭-১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত হয়।
★তৃতীয় সংস্করণের গল্পের সংখ্যা :- ১২টি।
★তৃতীয় সংস্করণের গল্পের সূচিপত্র :- ''রেখাচিত্র'', ''অভিনয় নয়'', ''অতনু মিত্র, সাবিত্রী বোস - আর বুলু'', ''এমিলিয়ার প্রেম'' (পূর্ব নাম : ''ওথেলো''), ''দু-একটা স্বর'', ''একা'', ''রোদ'', ''দাম্পত্য আলাপ'', ''সুখের ঘর'', ''হতাশা'', ''মাস্টার মশাই'', ''আমরা তিনজন''।
★তৃতীয় সংস্করণের প্রথম গল্প :- "রেখাচিত্র"।
★তৃতীয় সংস্করণের শেষ গল্প :- "আমরা তিনজন"।
★তথ্য :- এই উপন্যাসটির সম্পর্কে তৃতীয় (৩য়) সংস্করণের গ্রন্থাকারে প্রকাশের সময় লেখক বুদ্ধদেব বসু (বু.ব) লিখেছেন, ---
"....সবগুলি গল্পই প্রভুতরূপে পরিমার্জিত হয়েছে, এবং গল্পগুলি সাজানাে হয়েছে মােটামুটি কালানুক্রম রক্ষা ক'রে। এদের রচনার কাল ১৯২৭-১৯৪৬।"
- পরিমার্জিত চতুর্থ (৪র্থ) সংস্করণ :- ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ।
★প্রকাশনা সংস্থা :- "দে'জ পাবলিশিং", কলকাতা।
★পৃষ্ঠা সংখ্যা :- ২৭১-২৭২টি।
★মূল্য বা দাম :- তিনশত ষাট টাকা।
১১) ''চার দৃশ্য'' (১৩৬২ বঙ্গাব্দ)
★প্রকাশনা সংস্থা :- "জিজ্ঞাসা পাবলিশিং হাউস", কলকাতা।
১২) ''একটি জীবন ও কয়েকটি মৃত্যু'' (১৯৬০)
১৩) ''হৃদয়ের জাগরণ'' (১৯৬১/১৩৬৮)
১৪) ''ভাসাে আমার ভেলা'' (১৯৬৩)
১৫) ''তুমি কেমন আছাে'' (১৯৬৭) [গল্প ও নাটিকা]
১৬) ''প্রেমপত্র'' (১৯৭২)
★তথ্য :- এটি বুদ্ধদেব বসুর জীবদ্দশায় (জীবিতকালে) প্রকাশিত শেষ গল্পগ্রন্থ।
- বিশেষ দ্রষ্টব্য :- এরপরে কথাসাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসুর মরণোত্তর (মৃত্যুর পরে) যদি কোন গল্পের গ্রন্থ বা বই প্রকাশিত হয়, তাহলে সেগুলি গল্প-সংকলন গ্রন্থ বা গল্প-সংগ্রহ, গল্পগ্রন্থ নয়।
¤ প্রবন্ধগ্রন্থ এবং প্রবন্ধ-সংকলন গ্রন্থ :-
মূলত কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার ও নাট্যকার হিসেবে খ্যাত হলেও বুদ্ধদেব বসু বেশ কিছু মূল্যবান প্রবন্ধগ্রন্থ এবং প্রবন্ধ-সংকলন গ্রন্থও লিখেছিলেন। উপন্যাস, কাব্যগ্রন্থ ও কবিতা-সংকলন গ্রন্থ, গল্পগ্রন্থ এবং গল্প-সংকলন গ্রন্থের তুলনায় তাঁর জীবদ্দশায় (জীবিতকালে) প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ এবং প্রবন্ধ-সংকলন গ্রন্থের সংখ্যা বেশি নয় -- মাত্র ১১টি। এছাড়া, তাঁর মরণোত্তর (মৃত্যুর পরে) প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থের সংখ্যা ২টি। অর্থাৎ বুদ্ধদেব বসুর মোট প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ এবং প্রবন্ধ-সংকলন গ্রন্থের সংখ্যা মাত্র ১৩টি। সেগুলির তালিকা প্রকাশকাল অনুসারে ক্রমানুযায়ী সাজিয়ে তথ্যসহকারে নিম্নে দেওয়া হল ---
১) ''হঠাৎ আলাের ঝলকানি'' (১৯৩৫)
★তথ্য :- এটি বুদ্ধদেব বসুর প্রথম রচিত ও প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ বা গদ্যগ্রন্থ। এই প্রবন্ধগ্রন্থ বা গদ্যগ্রন্থের প্রকাশকালে বুদ্ধদেব বসুর বয়স ছিল মাত্র ২৭ বছর।
২) ''উত্তরতিরিশ'' (১৯৪৫)
★তথ্য :- এটি বুদ্ধদেব বসুর দ্বিতীয় রচিত ও প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ বা গদ্যগ্রন্থ।
★উৎসর্গ :- এই প্রবন্ধগ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেন --- সাহিত্যিক শ্রীযুক্ত যতীন্দ্রমোহন মজুমদার মহাশয় ও তাঁর স্ত্রী শ্রীযুক্তা শোভনা মজুমদার মহাশয়াকে।
- পরিমার্জিত দ্বিতীয় (২য়) সংস্করণ :- ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ।
৩) ''কালের পুতুল'' (১৯৪৬)
★তথ্য :- এটি বুদ্ধদেব বসুর তৃতীয় রচিত ও প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ বা গদ্যগ্রন্থ।
★উৎসর্গ :- এই প্রবন্ধগ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেন --- চিত্রকর বা চিত্রশিল্পী শ্রীযুক্ত যামিনী রায় মহাশয়কে।
৪) ''An Acre of Green Grass'' (১৯৪৮)
★তথ্য :- এটি বুদ্ধদেব বসুর ইংরেজি ভাষায় রচিত ও প্রকাশিত প্রথম প্রবন্ধ-সংকলন বা গদ্য-সংকলন গ্রন্থ। আধুনিক কবিতা নিয়ে সামগ্রিক আলােচনা আছে বুদ্ধদেব বসুর দু'টি প্রবন্ধ বা গদ্য রচনাতে। তার মধ্যে একটি প্রবন্ধ বা গদ্য রচনা হল --- ইংরেজি ভাষায় রচিত ''Modern Bengali Poetry'' (মডার্ন বেঙ্গলি পােয়েট্রি)। প্রবন্ধটি স্থান পেয়েছে তাঁর এই ''An Acre of Green Grass'' (১৯৪৮) প্রবন্ধ-সংকলন গ্রন্থে। অর্থাৎ এই প্রবন্ধটি তাঁর ''An Acre of Green Grass'' (১৯৪৮) নামক ইংরেজি ভাষায় রচিত ও প্রকাশিত প্রথম প্রবন্ধ-সংকলন বা গদ্য-সংকলন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। এই প্রবন্ধটিতে আছে তিরিশ ও চল্লিশের দশকের কবিতা সম্পর্কে যথোপযুক্ত বিশ্লেষণ।
★উল্লেখযোগ্য একটি প্রবন্ধ বা গদ্য রচনা :- ''Modern Bengali Poetry'' ('মডার্ন বেঙ্গলি পােয়েট্রি)।
৫) ''সাহিত্যচর্চা'' (১৯৫৪/১৩৬১)
★তথ্য :- এই প্রবন্ধগ্রন্থ বা গদ্যগ্রন্থের সব প্রবন্ধ বা গদ্য রচনাই ''কবিতা'' পত্রিকার জন্য লেখা হয়েছিল।
৬) ''রবীন্দ্রনাথ : কথাসাহিত্য'' (১৯৫৫)
★তথ্য :- এই প্রবন্ধগ্রন্থ বা গদ্যগ্রন্থটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথাসাহিত্য (উপন্যাস ও ছোটগল্প) নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
৭) ''স্বদেশ ও সংস্কৃতি'' (১৯৫৭)
৮) ''Tagore : Portrait of a Poet'' (১৯৬২) [ট্যাগোর : পোর্ট্রেট অফ এ পোয়েট]
★তথ্য :- এটি বুদ্ধদেব বসুর ইংরেজি ভাষায় রচিত ও প্রকাশিত দ্বিতীয় অথবা শেষ প্রবন্ধ-সংকলন বা গদ্য-সংকলন গ্রন্থ। এই প্রবন্ধ-সংকলন গ্রন্থটিতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।
৯) ''সঙ্গ : নিঃসঙ্গতা ও রবীন্দ্রনাথ'' (১৯৬৩)
★তথ্য :- এই প্রবন্ধ-সংকলন বা গদ্য-সংকলন গ্রন্থের অন্তর্গত ''রাজশেখর বসু'' ও ''শিশিরকুমার ভাদুড়ী'' প্রবন্ধ দু'টি বুদ্ধদেব বসুর সমালােচনাশক্তির বিস্তৃতির পরিচায়ক। বিশেষত শিল্পের সঙ্গে শিল্পীচরিত্রের আলােচনায় তিনি সফল।
★উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ বা গদ্য রচনা :- ''রাজশেখর বসু'', ''শিশিরকুমার ভাদুড়ী'' ইত্যাদি।
১০) ''কবি রবীন্দ্রনাথ'' (১৯৬৬)
★উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ বা গদ্য রচনা :- "বাংলা ছন্দ", "বাংলা কবিতার স্বপ্নভঙ্গ : মানসী", "রবীন্দ্রনাথের গানে, পদ্য ও গদ্য" ইত্যাদি। এই প্রবন্ধ (গদ্য রচনা) তিনটিতে নতুন কিছু নেই। কিন্তু রবীন্দ্র-গানে ছন্দমুক্তির প্রয়াস সম্বন্ধ তাঁর আলােচনা বিশেষ মূল্যবান।
★রবীন্দ্র সমালোচনা :- বিশ্বকবি (কবিগুরু) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে বুদ্ধদেব বসু সামগ্রিক আলােচনা করেছেন "কবি রবীন্দ্রনাথ" (১৯৬৬) প্রবন্ধগ্রন্থ বা গদ্যগ্রন্থে। তাঁর রবীন্দ্র-কবিতা বিষয়ে বুদ্ধদেব বসুর উপলব্ধি প্রকাশ লক্ষিত হয় গ্রন্থটিতে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সত্তর বৎসর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত ''জয়ন্তী উৎসর্গ'' গ্রন্থে আছে রবীন্দ্র-প্রেমের কবিতা বিষয়ে বুদ্ধদেবের সংবেদনশীল আলােচনা। রবীন্দ্র-কবিতা নিয়েই বুদ্ধদেব বসুর ছন্দ সম্পর্কিত আলােচনার শুরু। রবীন্দ্র-উপন্যাসের আলােচনা কালে বুদ্ধদেব বসু ততটা শক্তির পরিচয় দিতে পারেননি। তাঁর প্রধান মত রবীন্দ্র-উপন্যাসে কবি আর কথাশিল্পীর পূর্ণ সমন্বয় ঘটেনি। ফলে ক্ষতি হয়েছে উপন্যাসের। তিনি আরও বলেছেন প্লট নির্মাণ বিষয়ী বুদ্ধির কাজ আর কবিস্বভাবী লেখক এই কারণেই কাহিনী-কাঠামাে নির্মাণে ততটা সফল হননি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর উপন্যাসে যে ভিন্নতর প্রকরণের কথা বলেছেন, বুদ্ধদেব বসু তা সমর্থন করেননি। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ''চোখের বালি'' (৫ই এপ্রিল, ১৯০৩/১৩০৯) উপন্যাসকে বলেছেন সীমিত শক্তির উপন্যাস। অথচ "চোখের বালি" বাংলা উপন্যাসে সূচনা করেছিল ব্যক্তিত্বের সমস্যা; যা পূর্ববর্তী বাংলা উপন্যাসে ছিল অনুপস্থিত। "নৌকাডুবি" (১৯০৬/১৩১৩) উপন্যাসের কৃত্রিমতা বুদ্ধদেব বসু বুঝেছেন। কিন্তু তাঁর কারণ যে মনস্তাত্বিক জটিলতা বর্জন ও বহির্মুখী ঘটনার আধিক্য -- তা তিনি বুঝতে পারেননি। ''ঘরে বাইরে'' (১৯১৬/১৩২৩) উপন্যাসের সমস্যা সম্পর্কেও তাঁর বিশ্লেষণ যথার্থ নয়। বুদ্ধদেব বসুর মতে, --- "গােরা" (১৯১০/১৩১৬) ; "চতুরঙ্গ" (১৯১৬/১৩২৩) এবং ''যােগাযােগ'' (১৯২৯/১৩৩৬)-ই রবীন্দ্রনাথের শিল্পসফল উপন্যাস। তাঁর অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আছে নানা ত্রুটি। যেমন -- তাঁর ''শেষের কবিতা'' (১৯২৯/১৩৩৬) উপন্যাসের গল্পাংশ দুর্বল; ''চার অধ্যায়'' (১৯৩৪/১৩৪১) উপন্যাসে কবি মাঝে মাঝে আপন অভিজ্ঞতার বাইরে চলে গেছেন। এছাড়া, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "দুই বোন" (১৯৩৩/১৩৩৯) ও "মালঞ্চ" (১৯৩৪/১৩৪০) -- এই দুটি উপন্যাসেই রয়েছে সংহতির অভাব।
১১) ''প্রবন্ধ-সংকলন'' (১৯৬৬)
১২) ''মহাভারতের কথা'' (এপ্রিল, ১৯৭৪/১লা বৈশাখ, ১৩৮১)
★প্রকাশনা সংস্থা :-"এম. সি. সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ", ১৪, বঙ্কিম চক্যাটার্জী স্ট্রীট, কলকাতা - ৭০০০৭৩।
★প্রকাশক :- শ্রীসুপ্রিয় সরকার।
★মুদ্রণ সংস্থা :- "দি গৌতম প্রিন্টিং ওয়ার্কস্", ২০১/এ, বিধান সরণী, কলকাতা - ৭০০০০৬।
★মুদ্রক বা মুদ্রাকর :- শ্রীপার্বতীচরণ রায়।
★প্রচ্ছদপট শিল্পী :- শ্রীপূর্ণেন্দুশেখর পত্রী।
★পৃষ্ঠা সংখ্যা :- ২৯৫টি।
★তথ্য :- এটি বুদ্ধদেব বসুর মরণােত্তর (মৃত্যুর পরে) প্রকাশিত প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ বা গদ্যগ্রন্থ। এই প্রবন্ধগ্রন্থ বা গদ্যগ্রন্থটি বুদ্ধদেব বসুর গভীর মনন ও নিবিড় অনুভবের ফসল। ''মহাকাব্য'', ''মহাভারত'' তাঁর লেখনীতে লাভ করেছে নতুন তাৎপর্যে। আধুনিক দৃষ্টিতে মহাভারতের কাহিনী ও চরিত্রের এরূপ ব্যাখ্যা আর কোন বাঙালি প্রাবন্ধিক করেছেন কিনা সন্দেহ।
১৩) ''কবিতার শত্রু ও মিত্র'' (১৯৭৪)
★তথ্য :- এটি বুদ্ধদেব বসুর মরণােত্তর (মৃত্যুর পরে) প্রকাশিত দ্বিতীয় অথবা শেষ প্রবন্ধগ্রন্থ বা গদ্যগ্রন্থ।
- বিশেষ দ্রষ্টব্য :- এরপর প্রাবন্ধিক বা গদ্যকার বুদ্ধদেব বসুর যদি কোন প্রবন্ধের গ্রন্থ বা বই প্রকাশিত হয়, তাহলে সেগুলি প্রবন্ধ-সংকলন গ্রন্থ বা প্রবন্ধ-সংগ্রহ, প্রবন্ধগ্রন্থ নয়।
- আলোচক : সৌম্য মাইতি
- যোগাযোগ : ৬২৯০৩৭৭১৩৪
খুব খুব সুন্দর তথ্য। Thank you স্যার
ReplyDeleteধন্যবাদ
ReplyDeleteস্বাগত আপনাকে।
Deleteখুবই উপকারি তথ্য দাদা।।।।।
ReplyDeleteধন্যবাদ আপনাকে।
DeleteKhub sundar post
ReplyDeleteধন্যবাদ আপনাকে।
DeletePost a Comment